কবি – সঞ্জয় কুমার পাল
হালকা মাঝারি শীত পড়েছে
বাজারে শীতের সবজি,
নলেন গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই
স্বাদের প্রাচুর্য বুঝি।
শীতের বুড়ি চাদর গায়ে
এদিক ওদিক চায়,
সুযোগ পেলেই পাতা কুড়িয়ে
আগুন জ্বালিয়ে পোহায়।
শীতের সকালে কুয়াশা পড়ে
প্রকৃতি ঢেকে যায়,
কুয়াশার আবরণ ভেদ করে হঠাৎ
সূর্যি মামা তাকায়।
অঘ্রাণে কৃষক গোলা ভরে ধানে
শুরু হয় নবান্নের উৎসব,
পিঠে পুলি আর পায়েসের গন্ধে
চারদিকে আনন্দ উল্লাসের রব।
বস্তিবাসী আর গৃহহীনদের
বড়ই দুঃসময় ,
শীতের বস্ত্র আর কাঁথা কম্বল নেই
অসুখ বিসুখের ভয়।
দুদিকে দুই বিপরীত চিত্র দেখে
হতবাক হই আমি,
সাধ্য আছে যেটুকু আমার
অসহায়দের সেবায় নামি।
কেউ করে শীতের প্রতীক্ষা
আনন্দ আয়েশের সুযোগ,
কেউ চায়না আসুক শীতকাল
বাড়বে বলে দুর্ভোগ।