ঢাকা অফিসঃ
বাংলাদেশের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি নেতা, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নায়ক, ৫২’র ভাষা সৈনিক, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ছাত্র রাজনীতির কিংবদন্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জন্মদিন আগামীকাল।
৭৭ বছর শেষ ৭৮ এ পা রাখছেন এই জাতীয় নেতা।
১৯৩৯ইং সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। পিতা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৪ সালে ঢাকার সেন্টগ্রেগরিজ হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সহিত মেট্রিক পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে আইএ, জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখান থেকেই এমএ এবং এলএলবি পাশ করেন। ইতিহাসের অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের নেতৃত্ব দানকারী এই নেতা ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে প্রথম কারাবরণের মাধ্যমে রাজনীতিতে তার শুভ সূচনা হয়। ১৯৫২থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী আমলেও কারাগার ছিলো তার ঠিকানা। বন্ধুমহলে কারাগারের পাখি বলে পরিচিত শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন জীবনের প্রায় বিশ বছর জেল খেটেছেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের একবার সাধারণ সম্পাদক ও তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলনের মহানায়কশাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পর তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চীফ হুইপ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়িয়েছেন।
১৯৭০ ও ৭৩ সালের উভয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ৭৩ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বারের মত চীফ হুইপ নির্বাচিত হন। আশির দশকে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব, মন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।
তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
বিবৃতি স্বাক্ষর করেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লিংকন, মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের সভানেত্রী ফারজানা জাহান নিপা, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন সহ প্রমুখ।