কবি সিরাজুল ইসলাম
গরুর গাড়ি এখনও আছে
আছে গাড়িয়াল ভাই,
এই গাড়িতে এখন কেবল
নাইওরিরা নাই।
ভাওয়াইয়া গান এখনও আছে
গায় গাড়িয়াল ভাই,
পাগল করে গায়ের বধূ
মনটা করে ঠাঁই।
যাত্রাপুরের খেসারির ডাল
মোগলবাসার বেগুন,
সোনাহাটের করতি মাছ
খাইতে লাগে দারুণ।
বলদিয়ার লাল সুপারি
বারাইটারীর পান,
জুগিপাড়ার দমদমা চুন
গাল ভরিয়া খান।
নাগেশ্বরীর লাল টমটো
কাঁঠালবাড়ীর আলু,
ধরলা নদীর বইরালি মাছ
গল্প করেন খালু।
ভূরুঙ্গামারীর ভূরুঙ্গা মাছ
রাজারহাটের কচু,
দুর্গাপুরের চিকন চাল
বালারহাটের লিচু।
রৌমারীর ঝোলা গুড়
রাজীবপুরের খই,
উলিপুরের হালাইমিষ্ট
চিলমারীর দই।
ফুলবাড়ীর ফুলবাগিচা
মুগ্ধ করে সবে,
দাসিয়ারছড়া সীটমহল
দেখতে আসে সবে।
মাদারগঞ্জের মিষ্টি আলু
কচাকাটার কাউন,
রায়গঞ্জের রাইসরিষা
ঝুনকার চরের জাউন।
গছিডাঙ্গার ঢোলা বেগুন
শিঙেরডাবরির পিঁয়াজ,
দলদলিয়ার ঝাঁঝের রসুন
সব বাজারে বিরাজ।
সিন্দুরমতি মাদাইখেল
জেলার বড় মেলা,
নারী পুরুষ মেলায় যায়
দেখতে অনেক খেলা।
উলিপুরের জিয়া পুকুর
সবার নজর কাড়ে,
বনভোজন করতে আসে
এই পুকুরের তীরে।
শত বছরের অচিনগাছ
রয়েছে রাজারহাটে,
দেশ বিদেশর পর্যটক
দেখতে আসে বটে।
আমাদের দেশের শুটকি সিদল
ঐতিহ্যবাহী খাবার,
খাইলে পরে একবার কেহ
ভুলবে নাকো আর।
ঢাকায় বাড়ি কাজী সাহেবের
আসেন সোনাহাট,
সিদল ভর্তা খেয়ে তিনি
চাটতে থাকেন হাত।
কন্যা দায়ে জামাই পাতলেন
সিদল খাবার তরে,
অবশেষে বাড়ি করলেন
মিলন বাজারে।