ফারহানা আক্তার,, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার সিদ্দিকিয়া দ্বি মুখি দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিস্থিতি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় এলাকাবাসীর ফুসে উঠেছে৷ ওই মাদ্রাসার সুপার গত ১০ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার ঘটনা সামাল দিতে সুপার জাবেদুল ইসলাম অবশেষে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, মাদ্রাসা চলাকালে আরবী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরের দিন ওই ছাত্রীর পিতা ও এলাকাবাসী শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিচার চেয়ে মাদ্রাসার সুপার জবাইদুল ইসলামের কাছে। একটি লিখিত অভিযোগ করে৷ কিন্তু সুপার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে।
ফলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে বৃহস্পতিবার পুনরায় মাদ্রসায় গিয়ে শিক্ষককের বিচার দাবি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুপার মাদ্রাসার পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত ও মাদ্রাসার নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে আরবী শিক্ষক ইসমাইল কে তিন মাসের সাময়িক বরখাস্ত করা আদেশ দেন।
অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই মাদ্রাসার এলাকাবাসি ও ছাত্র ছাত্রীরা বলেন এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে দফায় দফায় মিটিং হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সে সচেতন তার সাথে হুজুরের এহিন কর্মকান্ড ৷ খুব্দ শিক্ষার্থীরা মাদ্রসায় বিচারের দিন আমারাও ছিলাম ইসমাইল হুজুরের গালে স্থানীয় চেয়ারম্যন কয়েকটি থাপ্পর দিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে৷ অপরাধ করে যদি থাপ্পর খেয়ে সমাধান হয় তাহলে দেশে আইনের দরকার নেই৷৷ তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল এই চেয়ারম্যনের আপন ভাগিনা বলে কথা।
এবিষয়ে সুপার জবাইদুল ইসলাম বলেন৷ আমার ছাত্রী অভিযোগ করেছিলো ওই শিক্ষক ব্লাক বোডের চক ডাস্টার নিতে আসায় গায়ে হাত পারেছে শুনেছি পরে বাদি বিবাদি উভয়ের পক্ষে মুচলিখায় আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে৷ বহিষ্কারের কপি চাইলে অস্বীকৃতি জানান আপনারা মাদ্রাসায় আসেন না বাজারে কোথাও দেখা করি৷৷
জানতে চাইলে ভুক্তভোগি ওই ছাত্রী বলেন সম্পর্ণ ঘটনা সত্যি আমি এখনো মন থেকে মেনেনিতে পারিনি ওই শিক্ষক ভন্ড লুচ্চা সে যদি আবার মাদ্রসায় আসে আমি আর পড়াশুনা করবো না। সুপার আমাকে ডেকে মুচলিখায় আপোষ করেছে৷
এদিকে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী শ্লীলতাহানির
ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করার আজীবন দাবি জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচানোর জন্য এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সুপার আর মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।’
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তা না হলে তাদের মেয়ে ওই মাদ্রাসায় আর যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যক্তিরা জানান মাদ্রাসায়
শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হলো কি এমন ক্ষমতার দাফটে তরিঘরি করে ইউনও স্যারের কাছ থেকে অভিযোগ প্রত্যহার করা হলো কয়েকটি থাপ্পর দিয়ে বিচার শেষ করলেন মাদ্রাসার সুপার৷
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে গোপন ক্যামেরাই ধারন কৃত বক্তব্যে বলেন ভুল মানুষের হয় আমারও হয়েছে আপনারা নিউজ করেন না আগে যা হবার হয়েছে ,চলুন কিছু কথা বলি৷ চা নাস্তা অফার গোপনে ম্যানেজ করার দাবি জানায়৷
এবিষয়ে ধলাহার ইনিয়ন পরিষোদ চেয়াম্যন,মোঃ তোজাম,সাংবাদিকদের জানান আপনারা যা শুনেছেন তাই আমি আবার কি বিস্তারিত বলবো৷
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলার সদর শিক্ষা অফিসার মোঃ তোফাজ্জাল,,হোসেন জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখিত অভিয়োগ করেছিলো আমি তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এমন সময় ভুক্তভোগীর পরিবার এসে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে ফলে আমি আর তদন্ত করতে পারিনি৷
নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মো মন্টু মুহরি জানান, মাদ্রাসায় পড়ুয়া নিমায়ের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী অভিযোগের ঘটনায় মাদ্রাসাসহ বিচারের দাবিতে মাদ্রাসায় লিখিত অভিযোগ করলে অত্র এলাকার সুশিল সমাজের মানুষ প্রতিবাদি হয়ে লাটি সোটা সহ মাদ্রাসায় মার মুখি হয়ে আক্রম করে পরে পরিস্তিত সমাল দিতে পরিচলানা কমিটির সদস্যদের নিয়ে রেজুলেশন করে তিন মাসের বহিস্কার কারা হয়েছে৷ কিন্তু সুপার বিষয়টি ধামা চাপা দিতে শিক্ষক ও অভিযোগ কারিদের চাপে ফেলে অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা করেছে৷ এটা ঘৃণিত একটি কাজ সুপার সঠিক বিচার না করে মুচলিখায় সমাধান করেছেন৷ এটি অন্যায়৷৷