এ কে এম হাসানুজ্জামান – এশিয়ান বাংলানিউজ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ডাইরিয়ায় আরিয়ান নামের ১০ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে উলিপুরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত শিশু আরিয়ান উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব বাড়বান্দা গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র।
মৃত আরিয়ানের চাচা আতাউর রহমান (৩৫) জানান , ২৪ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ০৭ টায় শিশুটিকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার্ড করেন। তিনি আরো বলেন আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিষয়ক কোন চিকিৎসক নেই, যদি থাকতো তাহলে শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো যেত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় – গত এক সপ্তাহে ৬৪ জন ডায়রিয়াজনিত রোগি ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ জন শিশু, ১৮ জন বয়স্ক মানুষ রয়েছে। এরমধ্যে ২৯ জন রোগি সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নার্সরা বলছেন কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা অভিভাবকদের অভিযোগ , শুধুমাত্র কলেরা স্যালাইন ছাড়া সব ওষুধপত্র বাহিরে থেকে কিনতে হচ্ছে তাদের । এতে করে চিকিৎসা নিতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগীসহ স্বজনরা।
বুধবার ২৫ জানুয়ারি ডায়রিয়া নিয়ে ৬ মাস বয়সী পলাশ নামের এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন ওই শিশুর মা পারুল। পারুলের বাড়ি উপজেলার দাঁত ভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ার চরে। তিনি জানান এখানে কলেরা স্যালাইন ছাড়া কিছুই দেয়া হয় না, সব কিছু বাহিরে থেকে কিনতে হয়। কিভাবে যে কি করি।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক চিকিৎসক( আর,এম,ও) জাহাঙ্গীর আলম জানান-
মঙ্গলবার ডায়রিয়া আক্রান্ত আরিয়ান নামের এক শিশুকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল, শিশুটির সিভিআর ডাইরিয়ার সাথে নিউমোনিয়া ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়। শুনেছি কুড়িগ্রাম নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন – হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ, ঠান্ডা জনিত কারণে বিশেষ করে শিশুদের মাঝে এ রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। এসব রোগীকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো যাবে, শুধু একটু বেশি তরল খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।