এ,কে,এম হাসানুজ্জামান- এশিয়ান বাংলা নিউজ রৌমারী:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাবারের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে বাড়ির সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণা লঙ্কার সহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
গত ২৬ জানুয়ারি যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা বেপারী পাড়া গ্রামে মিন্টু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কে বা কাহারা খাবারের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে দরজার টিন কেটে , ঘরে ঢুকে নগদ অর্থ ৪২,০০০ হাজার টাকা ,তিন ভরি স্বর্ণ অলংকার , বৈদ্যুতিক বাল্ব, কাপড়চোপড় ও কম্বল ইত্যাদি মালামাল নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীরা হচ্ছেন মিন্টু মিয়া ৪৫,ও তার ছেলে হৃদয়(২০) লিমন (১৭ ) জিমবাবু( ১২) স্ত্রী মোসাম্মৎ রেবা খাতুন( ৩৪), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫৫), ও প্রতিবেশী হান্নান দপ্তরি (৩৬)।
এরা সকাল দশটায় একইসঙ্গে খাবার খেয়ে পরের দিন ভোর পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে, এমতাবস্থায় কে বা কারা ঘরের দরজার টিন কেটে ঘরে ঢুকে মালামাল গুলো চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন জ্ঞান ফিরলে তারা দেখতে পায় ট্রাংক খোলা , কাগজপত্র সব এলোমেলো পড়ে আছে আশেপাশে । এমতাবস্থায় তারা কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে অসুস্থ সবাইকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
পরে মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক অনুপ কুমার বিশ্বাস বিএমএফ টেলিভিশনের প্রতিবেদককে বলেন – সম্ভবত খাবার অথবা পানির সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রৌমারি থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন- অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।