ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ২০০৮ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় দীর্ঘ ১৫ বছর পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের বাদশাহ মিয়া(৩৫)কে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে র‌্যাবের সহায়তায় গেপ্তার করেছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদশা মিয়া একই গ্রামের হেকমত আলীর মেয়েকে রিক্সা করে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নে শালঝোর নদীর ওপরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ওই নারীর পিতা বাদি হয়ে কুড়িগ্রাম কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদশা ও তার সহযোগী রিক্সা চালক আনারুল কে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

মামলা দায়েরের ১১ বছর পর ১৩ মে ২০১৯সালে আসামির অনুপস্থিতিতে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অম্লান কুসুম বশু আনারুল কে বেকসুর খালাস ও বাদশার মিয়া দোষী সাবব্যস্ত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুর রহমান বলেন,পুলিশ ও র‌্যাবের সম্মিলিত সহযোগীতায় প্রায় ১৫ বছর পলাতক থানার পর ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের চৌকস টীম সাজাপ্রাপ্ত আসামী বাদশাহ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

কুড়িগ্রাম জেলাকে মাদক,সন্ত্রাস ও অপরাধমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *