বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনা সদর উপজেলার বাওয়ালকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজিলাতুন্নেছা চায়নার বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম পরিপন্থি পদোন্নতী নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।চাকুরি চলাকালিন সময় বিভাগীয় অনুমতি না নিয়েই ন্যাশনাল ইউনিভার্সটি থেকে তিনি রেগুলার ক্লাস করে অনার্স ও মাষ্টার্স পাশ করে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নতুন আবেদনে চাকুরি নেন।আর প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরিতে আবেদনের সময় তিনি তার সকল তথ্য গোপন করেছেন।নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতী নিতে হলে কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আবেদন করার বিধান থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করে কতৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সকল নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে চাকুরি ফাকি দিয়ে ২০০৩ সালে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স ও ২০০৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেন। সরকারি কোন চাকুরিজীবি চাকুরি চলাকালিন অবস্থায় কোন রেগুলার কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে একই সাথে চাকুরি ও পাশাপাশি লেখাপড়া করার বিধান না থাকলেও তিনি তা করেছেন। এই শিক্ষক শিক্ষকতা ফাকি দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাত করে সরকারকে ফাকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানাগেছে, ফজিলাতুন্নেছা বরগুনা সদর উপজেলার বাওয়ালকর গ্রামের মো. ইউসুফ আলীর মেয়ে। তিনি ১৯৯৫ সালে ফুলঝুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি এবং চট্টগ্রামের ওমরগনী এম ই এস কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের স্মারক নং-৩৯৮/২৯ তারিখ-১/৪/২০০২ সূত্রে উক্ত সনদদিয়ে তিনি ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল সহকারি শিক্ষীকা হিসাবে নিয়োগ নিয়ে দক্ষিন পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম যোগদান করেন।কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তিনি ২০০৩ সালে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাশ করেন এবং ২০০৫ সালে তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মাষ্টার্স পাশ করেন।একদিকে সরকারি চাকরি অপরদিকে রেগুলার কলেজ করে সনদ সংগ্রহ করেন। আবার সেই সনদদিয়ে সহকারি শিক্ষিকার চলমান চাকুরি, সি ইন এড ট্রেনিং গ্রহনের এবং চাকরি চলাকালিন অবস্থার কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স করার সকল তথ্য গোপন করে নতুন আবেদন করে ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পরিরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালিন শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কাগজ কলমের তিরস্কার নিয়ে তিনি তার চাকুরি চালিয়ে যাচ্ছেন।বরগুনা জেলা তৎকালিন শিক্ষা অফিসার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান তাকে তিরস্কার করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে প্রধান শিক্ষক বহাল করেন।যার অফিস স্বারক নং-৩৭৬/৩ তারিখ-৩০/৩/২০১৪।
বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফজিলাতুন্নেছা বলেন, বিষয়টি তৎকালিন জেলা শিক্ষা অফিসার সুরাহা করে গেছেন।আমি লেখাপড়া চলাকালিন অবস্থায় চাকুরি নিয়েছি তাই কতৃপক্ষের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন মনে করিনি। তবে এ বিষয় বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ. মজিদ বলেন, চাকুরি চলাকালিন অবস্থায় রেগুলার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার কোন সুযোগই নাই । তাতে অনুমতির প্রশ্নই আসেনা।তাছাড়া চাকুরি চলাকালিন অবস্থায় যদি কেহ কোন রেগুলার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর সনদ সংগ্রহ করে থাকে তা যদি তিনি প্রকাশ করে থাকেন তাইলে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আসতেই পারে।অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।