মো: রেজাউল করিম, রাজশাহী:
সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ দাবিতে রাজশাহীতে সভা -সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজর জিরোপয়েন্টে রাজশাহীর তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এ কর্মসুচি পালন করে।
সমাবেশে তেল-গ্যাস সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব দেবাশীষ রায়, সিপিরি জেলা সভাপতি এনামুল হক, তেল-গ্যাস সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য মুরাদ মোশেদ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আলফাজ হোসেনসহ প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন ঘোষিত সংরক্ষিত ও স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। বনের কাছে হাজার হাজার টন কয়লা পুড়লে অন্তত ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে নিশ্চিত ভাবে পশুপাখি, গাছপালা, নদীনালা ধ্বংস হবে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে খরচ ১৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা এর মধ্যে ১৫% টাকা দেবে পিডিবি আর ৭০% ঋণ দেবে ভারতীয় ব্যাংক, পরিশোধের করবে বাংলাদেশ। যা লাভ হবে তার থেকে বাংলাদেশ পাবে ৫০% অর্থাৎ এই প্রকল্পের আর্থিক দায় বাংলাদেশের। রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে লাভ তুলে দেয়া হবে ভারতীয় কোম্পানীকে।
এই প্রকল্পে ১৮৩০ একর ধানী জমি এবং বসদ ভিটা অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হবে। কর্মসংস্থা হবে মাত্র ৬০০ জনের। কয়লা পুরানো বিষাক্ত ছাই দিয়ে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করা হবে। তাতে সুন্দরবনের নদী এবং জমি দুটোই ধংস হবে।
সরকারে যুক্তি পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও কয়লা ভিক্তিক বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো চীন, ভিয়েতনাম, জার্মানী, জাপানসহ অন্যান্য দেশ কয়লা বিভক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টে বিপুল অর্থ অপচয় না করে সরকারি উদ্যোগে গ্যাস ভিক্তিক বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হোক তাতে সাশ্রয়ী মূলে জনগণ বিদ্যুৎ পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন