জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিরীহ ও অসহায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে। উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে সাজেদুল সহ তিনজন কে মিথ্যা, মনগড়া মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক সোর্সের বিরুদ্ধে। হয়রানির স্বীকার সাজেদুল ইসলাম, বাবলু মিয়া ও আফসার হোসেন উদয়পুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। মামলায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য সান্তনা বেগম জানান, বিভিন্ন প্রশাসনের সোর্স সুজাউল মন্ডল এলাকায় টাকা পয়সা লেন দেন কে কেন্দ্র করে আমার স্বামী সহ মোট ৯ জনের নামে ১টি মামলা হয়। ওই মামলায় আমার স্বামীকে হয়রানি করছে মামলা নং (২৪) একই গ্রামের মৃত আজিবর মন্ডলের ছেলে সুজাউল মন্ডল ওই মামলায় সন্দেহ ভাজন ৩ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কিডনির দালাল সন্দেহ বানিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, মনগড়া ভিত্তিহীন। পৃথক ঘটনায় মামলার বাদী সুজাউল এর কাছ থেকে বাবলু মিয়া এক লক্ষ টাকা পাওনাদর সাজেদুর রহমান তিনিও সুজাউলের কাছ থেকে তিন বস্তা চালের টাকা পাওনাদার অসহায় দিনমজুর আফসার আলী মাংস বিক্রেতা তার কাছেও মাঝে মাঝে বাঁকিতে মাংস দাবি করেন৷ কর্যের টাকা পরিশোধ না করে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়৷ মামলার বাদী সুজাউল মন্ডল বিগত ০১/০২/২০২২ ইং তারিখে এভিডেভিট মূলে উক্ত মামলার আসামী বাবলু,সাজেদুর, আফসার খালাস বা জামিনে মুক্ত হক এই মর্মে একটি এভিডেভিট আদালতে দাখিল করেন৷ মামলায় একই ব্যক্তিকে সুবিধা দিয়ে সাক্ষী বানিয়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা করেছেন বলে জানান এলাকা বাসি তাদের দাবি সুজাউল মন্ডল বাবলু আফসার এদের মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
উদয়পুর ইউনিয়ন মুসলিমগঞ্জ বাজারসহ দুধাইল গ্রামের হারুন সুলতান মাহমএদ সুহেল আঃ রুফ শামীম ইলিয়াস বলেন। সাজেদুল এই বাজারে ১৫ বছর ধরে মানবিক চা দোকানী হিসেবে ব্যবসা করেন সাজেদুলের চুল পরিমান কিডনির সংঙ্গে জরিত নেই বলে ২৮ জন বাসিন্দা বলেন। সুজাউল মন্ডলের মামলা মিথ্যা,বানোয়াট ও হয়রানি মূলক হওয়ায় বিবাদীদের অব্যাহতি চেয়ে গণ স্বাক্ষাতকার করে প্রতিকার চেয়েছেন। মামলার বাদি প্রশাসন সোর্স এবং সে নিজেই কিডনির দালাল বলে এলকাবাসি জানান৷
এ বিষয়ে মামলার বাদী সুজাউল মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি ২০১৭ সালে ঢাকায় রিক্সা চালাতাম তিনটি কন্যা সন্তান আমার মাতা গোজার ঠায় নেই ঢাকায় এক লোকের খপ্পরে পরে আমার নিজের কিডনি সাড়ে তিন লাক টাকায় বিক্রি করেছি। প্রশাসন আমাকে ডেকে নিয়ে কাগজে সহি করে নিয়েছে পরে জানলাম কয়েক জনের নামে মামলা দিয়েছে এই মামলায় সাজেদুল বাবলু আফসার তারা নির্দোষ। এটা এলাকা বাসি জানেন।

এবিষয়ে উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তাকে না পাওয়ায়, মুঠুফনে যোগা যোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়াই বক্তব্য নেওয়া সম্ভ হয়নি৷

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা মানবাধিকার সভাপতি এম, এ কুদ্দুস বলেন অপরাধীদের ধরতে গিয়ে নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে প্রসাসনের উদ্দোশ্য বলেন একটি বিষয় সবসময় লক্ষ রাখতে হবে, যারা অন্যায় করবে সে যে-ই হোক, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এটাও দেখতে হবে যে, অযথা কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকার বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখেই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নীতি অবলম্বন করতে হবে৷৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *