ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থেকে আলামিন এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ময়নাতদন্তের  রিপোর্টে শ্বাসরোধে  হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ।

গত ১৯ মে সকালে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের  চিপা থেকেমৃত আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  ময়না তদন্ত করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া শরীরের অন্য কোনো স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত  আল আমিন উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পরিষদ  সংলগ্ন  ধামের হাট এলাকার  মৃত আঃ খালেক এর ছেলে।

নিহতের মা  আনিতা বেগম বলেন আমার ছোট ছেলে আল আমিন (২৪) মাঝে মধ্যে চায়ের দোকানে কাজ করা সহ ধামের হাট বাজারে থাকা ভাই ভাই ডেকোরেটরে কাজ করতো। ১৮ মে রাতে আমার ছেলে বাড়ি থেকে ধামের হাট বাজারে যায় । পরবর্তীতে আমার ছেলে আর বাড়িতে ফিরে আসে নাই।  ১৯ মে  সকাল আনুমানিক ০৬.০০ টার সময়  লোকমুখে জানতে পারি যে, আমার ছেলে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। আমি  সেখানে গিয়ে দেখতে পাই ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে থাকা পানির ট্যাংকের লোহার রডের সাথে রশি বাঁধানো অপর প্রান্তে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় তার মৃত্যু দেহ ঝুলে আছে। এ বিষয়ে  ভূরুঙ্গামারী থানায়  একটি অপমৃত‍্যুর মামলা করি। মামলা নং-০৫/২০২৩, তাং-১৯/০৫/২০২৩।

বুধবার ১২ জুলাই থানায় গিয়ে আমার ছেলের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে জানতে পারি যে, আমার ছেলে আল আমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি ।

পুলিশ সুত্রে জানা যায় এ বিষয়ে   ইউনিয়ন পরিষদে রাত্রী কালিন ডিউটিরত গ্রাম পুলিশ মোঃ সোলাইমান আলী (৩৯)ও ধামের হাট বাজারের নাইট গার্ড মোঃ কিসমত আলী (৫১), কে পুলিশ  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৩জুলাই বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম হাজতে প্রেরণ করেছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মোঃ রুহুল  আমিন বলেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট  অনুযায়ী নিহত আল আমিন কে শ্বাসরোধে হত্যা  করা হয়েছে। নিহতের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা  আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা টি তদন্তাধীন। দুজন কে আটক করে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *