নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করা হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হবে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকাস্থ নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম (এনজেএফ)। তাই যে কোনো মূল্যে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন উদ্যোগের প্রতিবাদে এ মানবন্ধনের আয়োজন করে এনজেএফ।বক্তরা বলেন, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই সাগরপাড়েই ঠেঙ্গারচরের অবস্থান। এখানে বিদেশি নাগরিক রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া নদীকেন্দ্রীক জলদস্যুতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের মতো নোয়াখালীর এ অঞ্চলটি ইয়াবা ও অস্ত্রের নিরাপদ রূটে পরিণত করবে।সংগঠনের সহ-সভাপতি ফিরোজ আলম মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল আনোয়ার, এনজেএফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার সুজন, আহমেদ তোফায়েল, নোয়াখালী কণ্ঠের সম্পাদক মাইন উদ্দিন আহমেদ সেলিম, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, শাহেদ শফিক, মুসফিকুর রহমান, শেষ সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তছলিম হোসেন, খন্দকার মাসউদ-উজ-জামান ও এসটি হোসাইন প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, নোয়াখালীর ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করতে দেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ আশঙ্কা করে বলেন, এর ফলে জেলার সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটবে। শান্তির জেলা নোয়াখালী অশান্ত হয়ে উঠবে। বাড়বে মাদক অস্ত্র ও চোরা কারবারি।বক্তরা আরো বলেন, এখনো জেলার লক্ষাধিক মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে খোলা আকাশের নিচে কিংবা বেড়িবাঁধের পাশে বসবাস করছে। তাদের পুনর্বাসন না করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সূবর্ণচরে সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চল করার যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করলে তা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা স্থানান্তরে বন নিধন, সরকারি সম্পত্তি, মৎস ও শস্য ভাণ্ডারের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, নিন্দা ও বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থানরত নোয়াখালীর সাংবাদিকরা।