মোঃ হাসান আলী ( সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্বীকৃতি পাননি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সুজাবত আলী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে মৃত সুজাবত আলী ঐতিহাসিক পলাশডাঙ্গা যুবশিবীরসহ খুলনা, অলিপুরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের মধ্যভদ্রঘাট নাঠাপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
সোমবার ২৫ (ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে মৃত সুজাবত আলী ওরফে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে তার পরিবারের ছোট মেয়ে মোছা: লাভলী খাতুনের বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
মোছা: লাভলী খাতুন বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সকল আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন এবং ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসে খুলনা,উলিপুর ও ঐতিহাসিক পলাশডাঙ্গায় পাকহানাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তার শারীরিকভাবে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় তিনি তখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে নাই। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সম্মান পাননি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি আমার বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সীকৃতি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, মৃত সুজাবত আলী ওরফে আব্দুস সাত্তার তিনি ১৯৭১ সালে পাকহানাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তিনি কীভাবে যুদ্ধ করেছেন সে সম্পর্কে আমাদের কাছে গল্প করেছেন। আমরা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি সুজাবত আলী একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রচারনা সম্পাদক আব্দুস সালাম,১নং ভদ্রঘাট ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার, মো: নুরুজ্জামান, ১নং ভদ্রঘাট ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী মাহাম,১নং ভদ্রঘাট সাবেক ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম্, মো: শাহজাহান আলী, মোছা: রেনুকা বেগম,মো: ফরিদ আহমেদ, মো: শাহজালাল, মো: ফজল, মো: মোকাদ্দেস আলী ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।