ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সরব হয়ে উঠেছে।
২০১৯ সালে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসহাক আলীকে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ওই পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, এর মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেই উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে যার নাম জোরে সোরে শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী মাটি ও মানুষের নেতা পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব।
তিনি বর্তমানে পুরো উপজেলায় গণসংযোগ ও উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এদিকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আলোচনা এখন পথে ঘাটে ও চায়ের দোকানে। গ্রাম গঞ্জের মানুষ চান সুখে দুখে যাকে পাওয়া যায় তিনি যেন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেদিক থেকে রেজওয়ানুল হক বিপ্লবকে বেশি চাচ্ছেন পীরগঞ্জ উপজেলাবাসী। তাকে দলীয় নৌকা প্রতীক বা আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান সাধারণ জনগণ উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে।
তার বর্নাঢ্য আওয়ামী রাজনীতি:
* ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। * ১৯৯৩ সালে নির্বাচিত হন জিএস। একাধারে তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে আরো কয়েকটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত। সেগুলোর মধ্যে রয়েছেন, সভাপতি বর্থপালিগাঁও মাদ্রাসা ও এতিমখানা, সভাপতি পীরগঞ্জ পাবলিক ক্লাব, সভাপতি জয়কৃষ্টপুর জামে মসজিদ, সভাপতি ইকরা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা, সভাপতি দক্ষিণ বথপালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাধারণ সম্পাদক ভাটা মালিক সমিতি, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত পীরগঞ্জ পাঠ্য চক্র, সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক প্রান্থ কথা, সদস্য সচিব ঠাকুরগাঁও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং, সাধারণ সম্পাদক ট্রাক্ট মালিক সমিতি, সাধারণ সম্পাদক পীরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, পরিচালক ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। কবে হবে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সবাই এখন অপেক্ষায় রয়েছেন সেই শুভক্ষণের।
এ বিষয়ে ৩নং খনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহিদ হোসেন,১১নং বৈরচুনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইজ উদ্দীন মাস্টার, ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, ৭নং হাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছারুল হক ডাক্তার, ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণ কুমার রায় সহ একাধিক নেতা কর্মীরা জানান, রেজওয়ানুল হক বিপ্লবকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। সে প্রার্থী হলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ জনগণ।
তাই এলাকার বসবাসরত বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষরা জানান, পরম বন্ধু রেজওয়ানুল হক বিপ্লবকে আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হলে জনগনের প্রানের দাবী পূর্ণ হবে।
এ ব্যাপারে রেজওয়ানুল হক বিপ্লব বলেন, আমাকে যদি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হয় আশা করি আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব এবং উপজেলার উন্নয়ন দূর্নীতি, নারী নির্যাতন, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ বন্ধ করে উপজেলাবাসীর কাঙ্খিত চাহিদা পুরন করে উন্নয়ন ও স্মার্ট উপজেলা করতে সক্ষম হবো।