লালমনিরহাট প্রতিনিধি
সাব রেজিস্ট্রি অফিস লালমনিরহাটে নিজের পরিচয় গোপন রেখে বোরকা পড়ে জাল দালিল সম্পাদনের চেষ্টা করায় স্মৃতি বেগম নামে এক নারীরে আটক করে জেলা সাব রেজিস্ট্রার। পরে তাৎক্ষণিক ওই রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য সদস্যরা আটক ওই নারীকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়। রোবরাব (২৮ জানুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাট বত্রিশ হাজারি এলাকায় জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারীর বাড়ি সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রাম জিবন নামক গ্রামে।
সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্মরত দলিল লেখক (লাইসেন্স নং ২৬/৯৩) আব্দুস সবুর অবৈধ সুবিধা নিয়ে গোপনে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রাম জিবন মৌজাস্থ অন্যের ভোগ দখলীয় জমির একটি ভুয়া দলিল প্রস্তুত করেন। ওই দলিলে অভিযুক্ত স্মৃতি বেগমের নাম পরিবর্তন করে লেখা হয় শাহিদা বেগম। রোববার বিকালে কৌশলে ওই নারীকে বোরকা পড়িয়ে বিক্রেতা সাজিয়ে ভুয়া ওই দলিল সম্পাদন করার সময় হাতে নাতে আটক করেন জেলা সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সমিতির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দলে বলে এসে আটক ওই নারীকে সাব রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে অফিসের গেট পাড় করে দেন।
এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক হামিদুর রহমান বলেন, দলিলটির ব্যাপারে ওই নারী অভিযুক্ত নয়, তাই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মুল অভিযুক্ত হলো দলিল লেখক। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তবে কি ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি। তবে এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন করেন।
এ ব্যাপারে জেলা সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব বলেন, প্রস্তুত করা দলিল এনে জমা দিলে তাতে অসঙ্গতি মনে হয়। পরে দলিল সহ জমি বিক্রেতা বোরকা পরিহিত ওই নারীকে আটকে জিজ্ঞাসা করলে দলিলটি জাল প্রমাণিত হয়। কোন পুলিশ না থাকায় আমরা অভিযুক্ত নারীকে আটক করে রাখতে পারিনি বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত দলিল লেখকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।