মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ চিরিরবন্দর রাণীরবন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইছামতি ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কর্মসুচি গ্রহন করে। দিবসটি উপলক্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ-মিনারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধাজ্ঞলি দেন।
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান বলেন রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের মাস ফেব্রুযারী । ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে পাকিস্থানের জন্মের পর থেকেই বঞ্চিত ও শোষিত পূর্ব- পাকিস্থানের জনগোষ্ঠী নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য ১৯৪৭ সাল থেকে যে সংগ্রাম শুরু করে তা বিভিন্ন চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে চুড়ান্ত রুপ লাভ করেছিল ১৯৫২ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারী । তবে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরো দীর্ঘ ৫টি বছর। ১৯৫৬ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্থান সংবিধান উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে । দীর্ঘ সংগ্রামের পর অর্জিত হয় মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা, আর এই ভাষা আন্দোলনের সাফল্যের পথ বেছেই রোপিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ । ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে। আজন্ম মাতৃভাষা প্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পূর্ব এবং পরবর্তী সময় আইন সভার সদস্য হিসেবে এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে গেছেন এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষীদের দাবির কথা বলে গেছেন। পরে ইছামতি ডিগ্রী কলেজের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আরো, বিভিন্ন স্কুল,কলেজ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞলী জানান।