লালমনিরহাট প্রতিনিধি
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের গরুর হাটসহ ঈদ বাজারে জাল টাকা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটি নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে জাল টাকা। অভিযোগ উঠেছে, লোভে পড়ে জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় কতিপয় গরু ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, ঈদকে টার্গেট করে জাল টাকার চক্রের সদস্যরা বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ১০০, ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে এবারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট অনিরাপদ ভেবে বেশিরভাগ ২০ ও ৫০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে ঈদ বাজারে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত চক্রের সদস্যরা জাল টাকা তৈরি চক্রের কাছ থেকে ১লাখ টাকা মাত্র ৩০হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনে। আর এসব জাল টাকার নোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট। আর তারা জাল টাকা কেনা থেকে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বিভিন্ন নামে পেজ ও গ্রুপ খুলে।
প্রথম দিকে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে তা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করা হয়।
জানাগেছে, ২০২২সালে ১৭ নভেম্বর রাতের আঁধারে লালমনিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় খাল থেকে ৬৬ বান্ডিল ‘জাল টাকা’র নোট উদ্ধার করে পুলিশ। শহরের জেলখানা রোডের খোর্দ্দসাপটানা এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। এক ব্যক্তি মাছ ধরতে গিয়ে কিছু ছেঁড়া টাকা দেখতে পায়। এরপর পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেতুর নিচ থেকে ৬৬লাখ টাকার ৬৬টি বান্ডিল উদ্ধার করে। এসব জাল টাকার প্রত্যেক বান্ডিল নোটের টাকার লেখা ছিলো সাথী সংঘ, লাকী কুপন, ভাগ্য পরিবর্তন সংকেত।
এছাড়া গত বছর কোরবানি ঈদের আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমনিরহাট শহরের খোঁচাবাড়ি এলাকায় এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আয়েশা বেগম নামে এক নারীকে হাজার টাকার ১৭টি ও ৫০০ টাকার ১০টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, প্রত্যেকটি পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণ স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। তিনি সকলকে টাকা গুনে নেওয়ার সময় মেশিনে পরীক্ষা করে নেওয়ার অনুরোধ জানান।