কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুন হাট বাজার সংলগ্ন অসহায় অটোরিক্সা চালক লুৎফর রহমানের বসতভিটা অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে ইমান আলী আমিনুর গং এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী গ্রামের মৃত হাসেম আলীর পুত্র মোঃ লুৎফর রহমান ভুরুঙ্গামারী মৌজার ১২৯ খতিয়ানভুক্ত সাবেক দাগ নং ২২৬৬ হাল দাগ নং৪৫৯,৪৫৭ ও ৪৬০ দাগে মোট ৪৪ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন থেকে ৩২ শতাংশ জমির মধ্যে বসত বাড়ি ও সুপারির বাগান লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। অপর দিকে অন্য একটি দলিলে থাকা ১২ শতাংশ জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্থানীয় সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেয়। এদিকে স্থানীয় একটি ভুমিদস্যু চক্রের আমিনুর-আনছার আলীগং দীর্ঘদিন থেকে ঐ জমি জোর পুর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় আমিনুর ইসলাম,আনছার আলীসহ ২০/২৫ জনের একটি ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে দা,কুড়াল লোহার রড,গাছের ডাল নিয়ে লুৎফর রহমানের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ৪২ শতাং জমি জোরপুর্বক দখল করে। এসময় ঐ জমিতে থাকা সুপারীর বাগানের ১৫টি সুপারীর গাছ কেটে ফেলে । এছাড়া জমিতে থাকা বসতবাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। এসময় লুৎফর রহমান,তার দুই মামা শফিকুল ইসলাম ও সোবাহান আলী বাঁধা দিতে গেলে আমিনুর ইমান আলীসহ সকলে তাদের বেধড়ক মারপীট করে । এসময় আমিনুর রহমান শফিকুল ইসলামের গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে সেই সুযোগে অন্যান্যরা শফিকুলের পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে লুৎফর অপর মামা সোবাহান আলীর অন্ডকোষ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে।এ সময় ভুক্তভোগীদের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এসময় আমিনুর ইসলাম গং ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের বাড়ির চতুর দিকে টিনের বেড়া দিয়ে বাড়ির চলাচল করার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় দ্রুত বাড়ি ছেড়ে না গেলে তাদের হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি দেয়ায় তারা প্রায় ৮দিন থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরে গত ৮ জুলাই লুৎফর রহমান আমিনুর-আনছার আলী নুর ইসলামসহ ১৯ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক বসতভিটা দখলের বিষয়ে আনছার আলী বানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি দখল করার কথা শিকার করেন।
এবিষয়ে সাব ইন্সপেক্টর মিতু আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্হলে গেলে দখলকারীরা দৌড়ে দূরে সরে যায়। পরে আমরা ঘটনা স্হল হতে দখলের কাজে ব্যবহার করা একটি খোন্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন