ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
আগামী কাল ১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী হানাদার মুক্ত দিবস। ভূরুঙ্গামারী দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা। ৬নং সেক্টরের অধীন সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরের পরিকল্পানা মোতবেক ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পশ্চিম,উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে এক যোগে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পরিকল্পনা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে প্রবল আক্রমণ শুরু হয়। ১৩ নভেম্বর মিত্র বাহিনীর কামান,মর্টার প্রভৃতি ভারি অস্ত্র দিয়ে গোলা বর্ষণ শুরু করে এবং ভারতীয় যুদ্ধবিমান আকাশে চক্কর দিতে থাকে। ভোর হওয়ার আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটে পাশর্^বর্তী নাগেশ^রী উপজেলার রায়গঞ্জ নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ১৪ নভেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও সিও (বর্তমানে উপজেলা পরিষদ)অফিসের সামনে চলে আসে । মুক্ত ভূখন্ডে এ সময় বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
প্রতি বছর ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে। দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি সকল স্তরের মানুষের।