রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা : ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গড়ে উঠেছে নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এরমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুগপোযোগী পাঠদান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ভালো ফলাফল ও নিয়ম-নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারি নিয়মমাফিক উপজেলার একাংশ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা এমপিওভুক্তির সব রকম নীতিমালা অনুসরণ এবং ভাল ফলাফল অর্জন করেও এমপিও ভুক্তকরণের আওতায় আসতে পারছেন না। তবুও থেমে নেয় এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে কার্যক্রম চলছে নিয়মিতভাবে। বহুদিন আগে উপজেলার হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হলেও যুগ যুগ ধরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ করতে পারছে না। জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। বার বার চেষ্টা করেও কোনোভাবে এমিপও ভুক্ত না হওয়ায় এদেরম মধ্যে প্রায় ০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শুধু বিনা বেতনে বিদ্যালয় চালিয়ে থেমে থাকেননি। প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। বিনিময়ে হতাশা ছাড়া আর কিছুই ভাগ্যে জোটেনি ওই সব শিক্ষকদের।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ডিএফ বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিএফএম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলিগাও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলিগাও নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পারকুন্ডা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নন্দুয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেএম আদর্শ নিম্ন মধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বলিদ্বারা বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোসেনগাও দাখিল মাদ্রাসা, রাউৎনগর দাখিল মাদ্রাসা, দৌলতপুর দাখিল মাদ্রাসা, লক্ষিরহাট নুরানী দাখিল মাদরাসা, চন্দন চহট দাখিল মাদ্রাসা, ঝাড়বাড়ি দাখিল মাদ্রাসা, সি এম দাখিল মাদ্রাসা, বি এইচ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উত্তরগাও নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাণীভবানীপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রয়াগপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তন্মধ্যে হোসেনগাও ও রাউৎনগর দাখিল মাদ্রাসা ছাড়া বাঁকি ৫টি দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবধি নিজ খরচে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। এমপিওভুক্তির জন্য সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন লাভ হয়নি। যার কারণে একদিকে যেমন শিক্ষকদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দ্রুত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করে সরকারী সুযোগ সুবিধার আওতায় না আসলে অচিরেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারনা করছেন এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী শাহরিয়াার জানান, নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও ভুক্তির আওতায় আনলে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হতো না। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।