বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম:
নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য আমদানি সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে আটক প্রথম পাঁচটি কন্টেইনারে এলইডি টিভি ও বিদেশি সিগারেট পাওয়ার পর ছয় নম্বর কন্টেইনারে মিললো দামি মদ।

৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনারে বিপুল পরিমান মদ পাওয়া যায়। সিভাস রিগালসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের দামি মদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তবে এখনো পরিমাণ নির্ধারণ হয়নি।

ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণায় চীন থেকে দুটি চালানে ১২ কন্টেইনার পণ্য আমদানি করেন খোরশেদ আলম নামে একজন আমদানিকারক। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসি ও কেরানিগঞ্জের অ্যাগ্রো বিডি লিমিটেড’র নামে চালান দুটি আমদানি করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে একজন আমদানিকারক ১২টি কন্টেইনার নিয়ে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনারগুলো আটক করা হয়।

রোববার প্রথম চালানের ছয়টি কন্টেইনার কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায় আমদাানিকারক ১ শতাংশ শুল্কহারের পোলট্রি ফিডার ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পণ্য ঘোষণা দিয়ে স্যামসাং, সনিসহ বিভন্ন ব্রান্ডের এলইডি টিভি, সিগারেট ও বিদেশি মদ নিয়ে আসেন।

ছয়টি কন্টেইনারের মধ্যে পাঁচটিতে টিভি ও সিগারেট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৬ নম্বর কন্টেইনারে সিভাস রিগালসহ দামি ব্রান্ডের বিপুল মদ পাওয়া যায়।

পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নগরীর ধনিয়ালা পাড়া এলাকার সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স। চালান আটকের পর থেকে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম চালানের ৩টি কন্টেইনার গত শুক্রবার (৩ মার্চ) বন্দরে অবতরণ করে। তবে বহির্নোঙরে জাহাজ আসে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই চালানে আরো ৩টি কন্টেইনার রয়েছে।

অপর ৬টি কন্টেইনার গত বুধবার বহির্নোঙরে আসে। এখনো বন্দরে নামানো হয়নি। ৬টি কন্টেইনার ল্যান্ড করার আগেই বিশেষভাবে আটক করা হয়েছে।দুটি চালানের ক্ষেত্রেই জাহাজ দুটি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন