untitled-1-copy
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও অনিয়মের অভিযোগে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে প্রত্যাহার করা হয়। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রুহুল আমিনকে রৌমারীতে ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। ৮ মার্চ সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ অধিশাখা’র এক পত্রে এ খবর নিশ্চেত হওয়া গেছে।
এদিকে তার প্রত্যাহারের খবরে রৌমারীবাসী যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচুর মন্তব্য এসেছে। কোথাও কোথাও মিষ্টি বিতরণেরও খবর পাওয়া গেছে। আমিনুল ইসলাম বিএসসি নামের একজন লিখেছেন, ‘ভিজিডি’র নাম প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানের তালিকা থেকে ২৫ থেকে ৪০টি করে নাম কেটে নিয়েছেন তিনি। ওই নামগুলো তার পিয়ন কফিল উদ্দিনের মাধ্যমে ৩ হাজার করে টাকা নিয়ে দুস্থ্যদের তালিকাভুক্তি করা হয়।’ গ্রাম বাংলা নামের একটি আইডি থেকে বলা হয়েছে, ‘বদলি করে লাভ কি, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।’ নাজিম আহমেদ নাজিম লিখেছেন, ‘যখন ছিল তখন কি করলেন, এরকম কলাঙ্গারদের শুরুতেই থামিয়ে দিতে হয়।’
আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল রৌমারীতে ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে ছিলেন। জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে চাঁদাবাজি’র অভিযোগে তার শাস্তিমূলক বদলী হয় রৌমারীতে। এখানেও এসে তিনি একই অবস্থার সৃষ্টি করেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিকট রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ এক পত্রে লিখেছেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার রৌমারীতে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। গতবছরের বন্যায় রৌমারীকে দূর্যোগ কবলিত এলাকা ঘোষণা করে প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেন। নানা বিষয়ে তাকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি তা কর্ণপাত করেন নি। এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জনগুরুত্বপূর্ণ পদে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম তাকে প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছেন।’
স্থানীয় এমপি রুহুল আমিন বলেন, ‘একজন অদক্ষ, অযোগ্য ও ঘুষখোর ইউএনও হিসেবে তিনি অল্প দিনেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। এমন কোন সেক্টর নেই যেখান থেকে তিনি ঘুষ চাননি। তিনি এখানে যোগদানের পরই উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর করতে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কাবিখা, কাবিটা, ভিজিডি, আরএমপি, এলজিএসপি থেকে ঘুষ নিয়েছেন। এমনকি শীতের সরকারী কম্বল পর্যন্ত তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন