মোঃ আবু হাসান,, বিভাগীয় প্রতিনিধি,,খুলনা।

খুলনার ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির সাড়ে ৪শ’ গ্রাহক তাদের আমানতের দু’ কোটির অধিক টাকা ফেরৎ না পেয়ে পথে পথে ঘুরছেন। ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির হোতারা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আত্মগোপন করেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, নগরীর লোয়ার যশোর রোড শঙ্খ মার্কেটের পাশে তৃতীয়তলায় অবস্থিত ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি। এখানে গ্রাহকদের অতিমুনাফা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা জমা রাখে। এ সুযোগে সাড়ে ৪শ’ গ্রাহক ২০১১-১২ সালে বিভিন্ন মেয়াদে ১৫টি প্রকল্পে গ্রাহকরা দু’ কোটি ১৫ লাখ টাকা আমানত রাখে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে গ্রাহকরা ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি খুলনার জোনাল ম্যানেজার কাম পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এ সময় মোস্তাফিজ গ্রাহকদের ধারাবাহিকভাবে আমানতের টাকা ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত গ্রাহকরা তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে পায়নি। এরিয়া ম্যানেজার তৈহিদুর রহমান ও খুলনার শাখার ম্যানেজার মিলন মাহমুদ দু’জনে গ্রাহকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে করে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরৎ পেতে বিভিন্ন মহলে ধর্না ধরে বেড়াচ্ছে। এখন এসব গ্রাহকরা অনেকা নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। গ্রাহকদেও মধ্যে শওকত আলী মুন্সি বলেন, তারা সহজ সরলভাবে এ টাকা জমা রাখেন। কিন্তু তারা সাড়ে ৪শ’ গ্রাহক আজ প্রতারণায় শিকার। আরেক গ্রাহক কামরুজ্জামান বলেন, তারা এ প্রতারকদের চক্রান্তের শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি এ প্রতারকদের বিচার দাবি করেছেন। আরেক গ্রাহক মাসুদুজ্জামান বলেন, কর্মকর্তা মিলন মাহমুদ গ্রাহকের টাকা সংগ্রহ করে তার একটি অংশ মাসে মাসে নিজে পদোন্নতির লাভের আশায় পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানকে দিতেন। গ্রাহকদের এ টাকা দিয়ে খুলনায় সম্পত্তি ক্রয় করার কথা ছিল। তা না করে সে পরিচালকের সাথে যোগসাজসে পাচার করে দিয়েছে। একই কথা বলেছেন গ্রাহক ইদ্রিস আলী, গিয়াস উদ্দীনসহ আরো অনেকে। এ ব্যাপারে খুলনা ইউনিটের এরিয়া ম্যানেজার তৈহিদুর রহমান ও ক্যাশিয়ার মিলন মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। এটা উচ্চ মহলের ব্যাপার। তিনি মালিক পক্ষের সাথে কথা বললে তারা টাকা নিয়ে নানা টালবাহানা করছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *