মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগে অনিয়ম ও দুর্নীতির কাজে জড়িত থাকায় ওয়ারিং পরিদর্শকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর আওতাধীন রাণীরবন্দর জোনাল অফিসে কর্মরত ওয়ারিং পরিদর্শক নরেশ চন্দ্র সরকারকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মচারী চাকুরী বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত ২০১২) এর ধারা ৪৩ এর উপধারা (১) মোতাবেক সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। তিনি পার্শ্ববর্তী খানসামা উপজেলার সুবর্ণখূলী গ্রামের আকড়াবাড়ী বাজার এবং পাকেরহাট বাজার এলাকার সংযোগ প্রত্যাশী গ্রহকগণ বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও কার্যকলপের সাথে জড়িত ছিলেন বলে দিপবিস-১ কর্তৃক প্রদত্ত পত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ওয়ারিং পরিদর্শক নরেশ চন্দ্র রায় জানান, খানসামা উপজেলার বেলপুকুর গ্রামের মৃত সলিমদ্দিনের ছেলে মিল চাতাল ব্যবসায়ী মো: নাজিম উদ্দিন গত ছয় বছর পূর্বে মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ৮৫৮ নম্বরে একটি আবেদন করলে আবেদনটি এক বছর পর গত ২৭ জুলাই ২০১৩ সালে অনুমোদন হয়। পরে অনুমোদিত পত্রটি অফিসিয়াল নিয়মে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর সময় ওই এলাকার পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম মিনুর হাতে হাতে পৌঁচ্ছানোর কথা বলে গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর পার হওয়ার পর গত ৭ এপ্রিল সংযোগটির বিষয়ে যোগাযোগ করেন মিল মালিক নাজিম উদ্দিন। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ আইনের ধারা পরিবর্তন হওয়া পুরাতন নিয়মে ওই সংযোগটি দেয়া সম্ভব নয় বলে খরচ যাচাই বাছাই করতে ওয়ারিং পরিদর্শক ফাইলটি আরই দিনাজপুর সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। এতে এলাকা পরিচালক আমিনুল ইসলাম মিনু ক্ষেপে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে কৌশলগত অভিযোগ দিয়ে বরখাস্ত করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এলাকা পরিচালক আমিনুল ইসলাম মিনু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খানসামার মিল মালিকের ছয় বছর আগের সংযোগ আবেদনের বিষয়টির সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমি ওই সংযোগটি নিয়মেই ফাইল জমা দেয়ার কথাই বলেছি।
পরে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয়, আপনাদের জানার দরকার নেই।