খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: খানসামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে গৃহবধুর পিতা অভিযোগ করেন।
সূত্রমতে, খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে মহছিনা বেগম (২৭)’র সাথে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মৃত শরিফুদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০)’র ১২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটায় এবং পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। মহছিনা এসব পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে সংসার করাকালীন তিন সন্তানের জন্ম দেয় বলে তার পিতার পরিবারের লোকেরা জানায়। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবারও লাঠি, ছুন্নি ও রড দিয়ে অমানুবিক নির্যাতন করে এবং মহছিনার জীবন সঙ্কটাপন্ন হলে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে সকাল সাতটায় গৃবধুর পিতার বাড়িতে খবর দিলে তারা হাসপাতালে গিয়ে মহছিনার মৃত দেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় মহছিনার পিতা আব্দুল মজিদ বাদি হয়ে নীলফামারী সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। লাশের ছুরতহাল করে শরীরে অনেক আঘাতে চিহ্ন পেয়েছি। তবে ময়না তদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।