ronju

বিশেষ প্রতিবেদনঃ
ভুরুঙ্গামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধান সন্তানের মানবেতর জীবন যাপন। পরিবারের দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রধান মন্ত্রী সহ সারাদেশের বিত্তশালীদের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধার অসহায় সন্তান সিরাজুল ইসলাম রঞ্জু।
জানাগেছে,উপজেলার ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানেরখামার গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব আলীর বড় ছেলে পিতার দারিদ্রতার কারনে বেশী দুর লেখা পড়া করতে না পেয়ে সংসারের দায়িত্ব নিয়ে ৮ম শ্রেণী পাশের পর মোটর শ্রমিকের কাজ নেন। তিনি দুরপাল্লার হানিফ এন্টার প্রাইজ নামে নৈশ কোচে সামান্য বেতনে হেল্পারের দায়িত্ব নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ২০১৬ সালে সিরাজুল ইসলাম রঞ্জু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোচ দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হলে লোকজন তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসার পর সে সামান্য সুস্থ হলেও একহাত এ পা পঙ্গু হয়ে যায়। এদিকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পরিবারটির উপর নেমে আসে চরম দুরবস্থা। তার দুরবস্থায় উত্তর ধরলা মোটর মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এই অসহায় পরিবারটির জন্য প্রতিটি বাস থেকে ৫/১০ টাকা সাহায্য করে রঞ্জুকে সাহায্য দিয়ে আসছে। সারাদিনে ১০/১৫টি বাস থেকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা সাহায্য দিয়ে কোন রকমে পরিবারটি চলছে। সিরাজুল ইসলাম রঞ্জু জানান,আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আমি গত ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ শাহজাহান সিরাজের সুপারিশ নিয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগীতা পাই নি।
আমার নিজস্ব কোন জমিজমা না থাকায় অন্যের উঠানে ঘর তুলে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি।একমাত্র ছেলে ৭ম শ্রেণীতে অধ্যয়ণ করছে তার পড়ালেখা এবং পরিবারের ভরনপোষন করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সিরাজুল আরও জানান,দুর্ঘটনার পর কত দিন হয় মাছ মাংস কিনে খাই নি তা মনে নেই,একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে সরকার যদি আমাকে সহযোগীতা বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তবে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে কিছু খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *