কামরুল ইসলাম হৃদয়,চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রাম নগরী থেকে বৃষ্টির পানি নামার অন্যতম বড় পথ মহেশখালের বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন অংশে দেওয়া বাঁধটি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বাঁধে হাতুড়ির আঘাত করে অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল, বন্দর সচিব ওমর ফারুক, চসিকের কাউন্সিলর মো. হাবিবুল হক, শৈবাল দাশ সুমন, শফিউল আলম, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, এইচ এম সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বলেন, অপসারণ কার্যক্রমের জন্য লংবুম স্ক্যাভেটার, স্কিট স্টিয়ার লোডার, ব্যাক হো লোডার, ডাম্প ট্রাক, ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বাঁধটি পুরোপুরি অপসারণে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে মহেশখালের বাঁধ ভাঙার আয়োজন দেখতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ভিড় করতে থাকে কৌতূহলী মানুষ। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে, বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষী ও চসিকের কর্মকর্তাদের। প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের নগর পরিকল্পনাবিদদের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই মহেশখালে বাঁধটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত কর্নফুলী নদীতে নামতে না পারায় আশপাশের বড় একটি অংশের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন উজানের ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর এবং ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের বাসিন্দারা। গত বছরের ২১ মে বাঁধ খুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে বৃষ্টিতে বাঁধের উজান ও ভাটির দুইপাশের মানুষই তিন দিন জলাবদ্ধ ছিল। সে সময় বাঁধ অপসারণের দাবি আরও জোরালো হলে ১ জুন নগর ভবনের এক বৈঠকে বাঁধটি অপসারণের ঘোষণা দেন মেয়র নাছির।