মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
চিরিরবন্দরসহ দিনাজপুর সর্বত্র মানুষ আজ বৃষ্টিতে কাঁক ভেজা। বর্ষা তার পূর্নরুপ নিয়ে হাজির। বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশে আষাঢ় ও শ্রাবণ দু’মাস বর্ষাকাল হলেও ঋতুচক্রের পট পরিবর্তনের ফলে আকাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়া অনাকাঙ্খিত বৃষ্টিপাত হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তবে এখন চলছে বর্ষাকাল । রবি বলেছেন- নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নেই রে, ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাইরে। কিন্তু দারিদ্র দেশে এখন আর বৃষ্টিকে ভয় পেলে পেটের ক্ষুধা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সারাদেশের ন্যায় চিরিরবন্দরে বর্ষার অবিশ্রান্ত ঝিরঝির ঝরা মানুষের ভোগান্তিকে ক্রমেই বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। উপজেলার কাঁচা রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা বৃদ্ধিসহ পানি জমে কাঁচারাস্তা গুলোর হাটুর্ভতি কাঁদা। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তঘাট ঘুরে দেখা গেছে পা দেওয়া জায়গা নেই, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এদিকে চলছে আমন ধান রোপনের কাজ তাই গ্রামের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করছে পাওয়ারটিলার, হেরোসহ ভারী যানবাহন যার কারনে রাস্তার বেশী ভাগেই নষ্ট হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সাতনালা গ্রামের নালীপাড়াসহ ওই এলাকার অধিংশ কাঁচারাস্তা চলাচলে জনদূর্ভোগের শেষ নেই। এদিকে রোগ বালাইয়ের সংক্রামণ,ব্যবসা বানিজ্যের স্বাভাবিকতায় বিঘœতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট দূর্ভোগে পড়েন শ্রমজীবি মানুষ। উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের নালীপাড়া গ্রামের রিকসা চালক হাফিজুল ইসলাম, আফতাফ উদ্দিন,হামিদ,হাচেন,বলেন, দারিদ্রতা আমাদের নিত্য দিনের ঘটনা,আমরা রিকসা-ভ্যান চালাই পার্শ্ববর্তী শহর সৈয়দপুর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কিন্তু কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের অবস্থা চিন্তা করে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। আমাদের উর্পাজন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপদ্রব শুরু হয়ে গেছে। বরন জমানো কিছু টাকা ছিলো তাও শেষ হয়েছে। ইনজিও থেকে টাকা নেওয়া আছে তার কিস্তি চালাতে পারছিনা। মানুষ থেমে থেমে ঝিড় ঝিড় বিরতহীন বৃষ্টির দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থলে যাওয়া লোকজনসহ অফিসগামী,স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনেই প্রায় সকাল থেকে হওয়া বৃষ্টিপাতের ফলে বিপাকে পড়ছেন সর্বস্তরের কর্মজীবি মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *