ঢাকা সংবাদদাতাঃ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথে গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্র আজ পদদলীত-লাঞ্চিত বলে অভিমত করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে গণশক্তি গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার বিকালে নীলফামারীর ডিমলা হাউজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা জেবেল রহমান গানি, বক্তব্য রাখেন ন্যাপ নীলফামারী জেলা উপদেষ্টা আবদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুর রহমান, ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক শাহ আজিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. মোফাক্কারুল ইসলাম পেলব, যুগ্ম আহ্বায়ক মোনাজ্জেম হোসেন দুদু, মজিবুর রহমান বুলবুল, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক আবদুল মান্নান প্রমুখ।
এসময় প্রতিষ্ঠা বার্ষিতকীর কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দলীয় প্রধান জেবেল রহমান গানি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেবেল রহমান গানি বলেছেন, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন, দিগন্ত বিস্তৃত প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাদের সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল স্বদেশী নব্য-শাসকদের মদমত্ততায়। বর্তমানেও দেশে সেই অবস্থাই বিরাজ করছে। আবারো মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে ডিজিটাল কায়দায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেছেন, বহুদলীয় রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে সমাজ রাষ্ট্রে অশুভ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটতে বাধ্য। আর অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে বর্তমান সরকারের ভূল নীতির কারণে।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিস্তেজ করার যে কৌশল গ্রহন করেছে তাতে অগণতান্ত্রিক শক্তির কবলে পড়তে পারে রাষ্ট্র। সরকারের উচিত হবে, দেশ-গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থের পরিপূরক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ নামের জাতিরাষ্ট্র বা নেশনস্টেটটির নাগরিকরা রাষ্ট্রভিত্তিক, আধুনিক ও বাস্তবসম্মত এক জাতীয় পরিচয় অর্জন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *