রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজে সদ্য একান্ন লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তাতে উন্নয়নমূলক কাজের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রজব এন্টারপ্রাইজ। রাস্তা মেরামতের কাজে করা হয়েছে পুকুর চুরি। চাহিদার তুলনায় কম পরিমান নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। আর্থিক লাভবান হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, সওজ প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্টরা।
দির্ঘদিন যাবৎ শিবদিঘি যাত্রী ছাউনী মোড় থেকে বড় ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটিতে পথচারী, যানবাহন চরম ঝুঁকির মুখে চলাচল করতে হত। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমতো রাস্তার উপর। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে খাল খন্দরে পরিনত হয়ে রিক্সা, ভ্যানের চাকা চ্যাপটা হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে চলাচলকারীদের। সংবাদ কর্মীদের সচেতনতায় রাস্তাটি চলাচলের উপযোগি করার জন্য প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাতে রাস্তার কাজ মান সম্মত না করে একটু বৃষ্টি হলেই পৌরসভা গেট সহ সিংহভাগ রাস্তার উপর বৃষ্টির পানি জমে থাকে। মেরামত কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রোলারের কাজ ঠিকমতো না করায় পুরো রাস্তা উঁচু-নিচু থাকায় পানি ধরে থাকে যা রাস্তাটি নষ্ট হতে বেশি দিন সময় লাগবে না। জুনের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু করে মাসের শেষে তা শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি। নি¤œ মানের কাজ করার ফলে কাজ শেষ করার ১০ দিনের মধ্যেই রাস্তায় গর্ত দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী রজব আলী বলেন, ভাই সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতে হয়তো বুঝতেই পারছেন।
সওজ জেলা প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন’র সাথে রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ ছাড়াও মীরডাঙ্গী বাজার সংলগ্ন মীরডাঙ্গী-ভাংবাড়ি রাস্তায় একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধিনে ব্রীজের নির্মান কাজ চলছে। সেখানেও নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে অধিকহারে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মোঃ হেলালউদ্দিন বলেন, এটা চার বছর আগের কম বাজেটের কাজতো তাই এটি শেষ করতেই হচ্ছে তা ছাড়া উপায় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *