রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কতিপয় আইসিইউ, জনবিচ্ছিন্ন নেতা যারা দলের সুবিধা নেয় কিন্তু দলের কাজ করে না। সব সময় দলীয় নেতা,কর্মীর সাথে অশুভ আচরণ, দূর্নীতি, লুটপাট, ঘর ও রিলিফের চাল বিক্রি করা যতো রকমের সরকারি সুবিধার জন্য নেতাকর্মীদের টাকা মারা, দাপটে ঠিকাদারী করা, সবচেয়ে নিন্মমানের কাজ করা, মাদক ব্যবসা করা, ধাপ্পাবাজী করা এমনকি পায়খানা দিয়েও টাকা হাতিয়ে নেওয়া ভুমিদস্যু কিছু সন্ত্রাসী নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পর্কে মিথ্যা, অসত্য, ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সংবাদ প্রচার করে দল ও সরকারের ভামূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,এই মিথ্যা, অসত্য তথ্য প্রচার করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি যারা ক্ষুন্ন করছে, তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করা হয়।

এ সময় উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার আহসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ খোকাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বাজার প্রদক্ষিণ করে।

অপর দিকে মেয়াদর্ত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে পূণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ পালন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আরেকটি পক্ষ।
সকাল ১১টার দিকে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু’র নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল রৌমারী ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে পথসভা করে।

এ পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি রফিকুল আলম শাহিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহ নেওয়াজ তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএমএ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক আফজাল হোসেন বিপ্লব, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভার) আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, সাবেক সহ-সভাপতি এনআর জাহাঙ্গীর রবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাদলসহ আ’লীগ নেতাকর্মী।

সমাবেশে সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু বলেন, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন তার দলীয় ও মন্ত্রীত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে লুটপাট, জমি দখল ও নানা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার কুমির বুনে গেছেন। দলের জন্য কিছুই করেন নাই। বর্তমান অনুমোদনহীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা একজন বই চোর। সরকারী চাকুরী করার পরও তিনি কিভাবে দলের একটি ভাইটাল পোষ্টে থাকতে পারেন। আমরা এই অবৈধ কমিটির বিলুপ্তি চাই, সেই সাথে একটি পুর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি চাই।
১৩ জুলাই শনিবার উভয়পক্ষ এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা। ফলে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও রৌমারী সার্কেল মমিনুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষকে বাধা প্রদান করে সতর্ক করা হয়েছে। যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন