কাজী শাহ্ আলম
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন বদলের পালা এই শ্লোগান অনেকাংশে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ উন্নয়নের ধারা ক্রমান্বয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একসময় জরাজীর্ণ থাকলেও এখন ভবন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস।
হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে দক্ষিণ সিন্দুর্ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একসময় জরাজীর্ণ থাকলেও বর্তমানে ভবন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাসের শেষ নেই। বিদ্যালয়টির তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে হওয়ায় ভাঙ্গনের ঝুঁকিতেও রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জরাজীর্ণ এই বিদ্যালয়টি বর্তমানে ভবনে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১ম পর্যায়) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণে এ ভবনটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর প্রাকল্পিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ লাখ, ৯৬ হাজার ৬ শ’ ২৬ টাকা। মেসার্স জয় ট্রেডার্স উক্ত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজটি শেষ করেছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সোমবার সকাল থেকে নতুন ভবনে ক্লাস করতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করছে। সকল শিক্ষার্থীরা বলেন,আগে আমাদের স্কুলে নদীর বন্যার সময় পানি উঠছিল তাই ক্লাস করতে পারি নাই, এখন আর পানি উঠবে না। এতদিন আমরা ভাঙ্গা স্কুলে ক্লাস করছিলাম এখন আমরা নতুন বিল্ডিংয়ে ক্লাস করি। আমাদেরকে অনেক আনন্দ লাগছে।
 অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বর্ষাকালে নদীর পানি একটু বাড়লে এ বিদ্যালয়টির প্রতিটি ক্লাসরুমে হাটু পানি উঠত। ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করতে পারত না। ভবন হওয়ায় এখন নদীর বন্যার পানি উঠার আশংকা কম।নতুন ভবনে ক্লাস করতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক আনন্দিত এবং শিক্ষকগণও আনন্দের ক্লাস পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয় ভবনের কাজটি শেষ করতে সময় বেশি লাগলেও কাজের গুনগতমান ঠিক আছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন বলেন, স্কুল ভবনের নির্মিত কাজ আমাদের তত্বাবধানে শেষ হয়েছে। কাজের গুনগত মান বজায় রয়েছে। অত্র উপজেলার ক্রমান্বয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহুতল ভবনে রূপান্তরিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *