সঞ্জিত চন্দ্র শীল হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি;
বয়স মাত্র ৩০। বউ আর এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। জীবনের এ সময়েই দেখেছেন মুদ্রার উল্টো পিটও। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দেনা করে ময়মনসিংহের গফরগাওঁ বাজারে ছোট্ট একটি ফার্মেসি নিয়ে শুরু করেছিলেন ঔষুধের ব্যবসা। করোনায় এটাতেও লোকশান গুনতে হলো তাকে। কোমরে সমস্যা থাকায় করতে পারেন না ভারী কোনো কাজ। নিজের ঘর নেই। বিয়ে করে ভাড়া থাকতেন গফরগাঁওের একটি বাসায়৷ বর্তমানে থাকছেন বড় ভাইয়ের ঘরে।
বলছি হোসেনপুরের শেষ সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের আবু যরের কথা।
ফার্মেসি ব্যবসা ছেড়ে তিনি এখন নিঃস্ব জীবন যাপন করছেন। ঘর না থাকায় বউ চলে গেছে বাবার বাড়িতে৷ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে৷
আবু যর জানান, বাড়িতে তার কোনো ঘর নেই।ঘর না থাকায় তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে শশুর বাড়ি চলে গেছেন৷ এখন তার একটি ঘর দরকার। কিন্তু ঘর নির্মাণের সামর্থ্য তার নেই। একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হলে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালভাবে বসবাস করতে পারবেন।
জাহাঙ্গীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, সে বিভিন্ন ঋণ সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। তিনি বলেন, ইউএনও বরবার তার ঘরের ব্যাপারে সে ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন৷