কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভিতরকুটি গ্রামের বাসিন্দা রহিম বাদশা। পেশায় কাঠমিস্ত্রী। রেজিয়া বেগম-রহিম বাদশা দম্পতির দু’সন্তানের মধ্যে রাদিব মিয়া বড়। অভাব অনটনের সংসার। কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে তাই দিয়ে চলে সংসার। অর্থাভাবে প্রতিবন্ধি সন্তানকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারছেন না পরিবারটি।
শিশুটির চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয় শিক্ষক এবং সমাজকর্মী এম রশিদ আলী গতমাসের
৯জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডিতে প্রতিবন্ধী এক শিশুর জন্য হুইল চেয়ার চেয়ে একটি মানবিক পোস্ট দেন। তার এই পোস্টটি দেখে অনেকেই তাদের স্ব-স্ব আইডি এবং বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করেন। পোস্ট দেবার কয়েকদিনের মধ্যে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা হয় সাড়ে চার বছর বয়সী শিশু রাদিব মিয়ার। গত মাসের শেষের দিকে রাদিব মিয়ার বাবা আব্দুর রহিম বাদশার ফোনে একটি বিদেশি নম্বর হতে কল আসে এক পুরুষ কন্ঠের ব্যক্তির। তিনি বলেন,রহিম বাদশাকে বলেন, আপনি কি ১০হাজার টাকা পেয়েছেন? এর উত্তরে রহিম বাদশা বলেন না,পাইনি।
এই বিষয়ে রহিম বাদশা জানান,ভাই কিছুদিন ধরে আমি জীবিকার তাগিদে চর নারায়ণপুরে কাজ করতে গেছি। সেডে মোবাইল নেটওয়াকের খুব সমস্যা। সেজন্য বিদেশ থাকি যে ভাই ফোন দিছিল তার সউগ কথা বুঝবার পাংনাই। মোক ফোন দিয়া নাম জিগায় কয় মুইকি ১০হাজার টাকা পাইছং কি না? মুই কনু না। খালি চেয়ার পাইছং। তাক কনু ভাই তোমরা কিসের টাকা দিছেন? আর তোমরা কাই কডে থাকি কবাইছেন? এরই মাঝে ফোন কাটি গেইল। পরে মুই ফোন দিনু কল যায় না। বাড়ি ফিরে মাস্টারক কনু ঘটনা।
এই বিষয় শিক্ষক এম রশিদ আলী বলেন, রহিম বাদশা কাজের প্রায় সময় চরাঞ্চলে যায়। নারায়ণপুর ইউনিয়ন মূল ভূ-খণ্ড হতে ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমার নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। জেলার শেষ ইউনিয়ন ভারতীয় সীমান্তবর্তি। ফলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা পরতে হয় মোবাইল ব্যবহারকারীদের।বিদেশি ফোনের বিষয়ে ছেলেটির বাবা আমাকে শনিবার জানায়। আমি রিসিভ কল থেকে নাম্বারটি নিয়ে ফোন দেই। কিন্তু সেই নাম্বারে ফোন যায় না। সাহায্যের টাকা না পাওয়ার ঘটনা সত্যি দুঃখ জনক। তবে আমি অনুরোধ করছি যে ব্যক্তি টাকা পাঠিয়েছে সে যেন পুনরায় খোঁজ নেন। অথবা টাকাটি কেউ আত্মসাৎ করে থাকে তাহলে সেই প্রতারকের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন। #
প্রতিবন্ধী ছেলের বাবা রহিম বাদশার মোবাইল নম্বর:( 01741658447-বিকাশ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *