কুড়িগ্রাম সংবাদতাতা॥ প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুরের অভিযোগে থানায় আটক ব্যাক্তিদের ছাড়িয়ে এনে গ্রাম্য শালিশ করে বিষয়টি মিটানোর চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য। এরই জেরে অভিযুক্তরা ধর্ষণের মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন আদালতে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর প্রস্তাবিত কচাকাটা উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে। ইউনিয়নটির ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহাতাব আলীর নামে এ মামলা করেন লিলি বেগম ওরফে হলদি নামের এক মহিলা। হলদি ওই গ্রামের মানিক মিয়ার সন্তান।
এলকাবাসী এবং থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ই ফেব্রুয়ারী ওই ওয়ার্ডের পাড়ের ভিটা গ্রামের মোশলেম উদ্দিনের পরিবারের সাথে হলদির পরিবারের লোকজনের বিবাদ বাধলে হলদির পরিবার মোসলেমের বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে। মোসলেমের অভিযোগে হলদিসহ তার পরিবারের লোকজনকে আটক করে কচাকাটা থানা পুলিশ। পরে বিষয়টি মিমাংসার জন্য ওর্য়াড সদস্য মাহাতাব উদ্যোগে একটি শালিশি বৈঠক হয়। এতে হলদির ৮হাজার টাকা জরিমানা হয়। এই শালিশ না মানলে থানায় মামলা করেন মোসলেম। পরে জামিনে এসে ৫অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ইউপি সদস্য মাহাতাব এবং একই গ্রামের আব্দুস সাফির ছেলে আজিজার রহমানের নামে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন হলদি।
এ মামলার ঘটনায় বিক্ষুব্দ হয়েছেন পাড়ের ভিটা গ্রামের বাসিন্দারা । ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, আবু হোসেন জানান, ইউপি সদস্য মাহাতাবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলা হওয়ায় আমরা মর্মাহত। হলদির মামা এবং প্রতিবেশি আবুতুল্লাহ জানান, হলদির ধর্ষনের ঘটনা সাজানো ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি ।
একই গ্রামের বাবু ব্যাপারীর স্ত্রী জুলেখা বেগম , মহর উদ্দিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম জানান, হলদি ১০/১২ বছর থেকে ঢাকায় থাকে এবং প্রতি বছর একটি করে লোক স্বামি পরিচয়ে নিয়ে আসে। অনেকের অভিযোগ হলদি বহুদিন থেকে অনৈতিক কাজে জড়িত।
এর আগে ২০০৭ সালে সাবেক ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করলে তার নামেও ধর্ষণ মামলা করেন হলদি। সাবেক ইউপি সদস্য খয়বর আলী জানান, হলদির অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তার নামে ধর্ষন মামলা করেছিলো হলদি।
কচাকাটা থানার ওসি চৌধুরী জাকিরুল ইসলাম বলেন, হলদি এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে একটি মারামারী এবং ভাংচুরের মামলা রয়েছে থানায়। সে দেহ ব্যাবসার সাথে জড়িত বলে মনে হয়।
হলদির বাড়িতে গিয়ে তার দেখা পাওয়া যায়নি তবে তার একটি ফোনো আলাপের রের্কড পাওয়া যায়, রের্কডে তাকে বলতে শোনা যায়, ইউপি সদস্য মাহাতাবের পরামর্শে আমাদের নামে মামলা করেছে মোসলেম। আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে টাকা তুলতেই মামলা করেছি। সব টাকা দিলেই মামলা তুলে নেব।