কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
একজন কর্মঠ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাই পারেন শ্রম ও সুদক্ষতার মাধ্যমে একটি অঞ্চলের আমুল পরিবর্তন করতে। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান। তার একের পর এক কার্যকর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বদলে যাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় গড়ে ওঠা কুড়িগ্রামের চিলমারীর উপজেলার চিত্র। এখানে তিনি পাঠাগার স্থাপন, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা তহবিল গঠনসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। ফলে সকলের কাছেই তিনি মানবিক ইউএনও হিসেবে বেশি পরিচিত।
জানা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। যোগদান করার পর বাল্যবিয়ে রোধ, মাদকের বিস্তার রোধ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। অনগ্রসর এই জনপদের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য আর শিক্ষার উন্নতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। রাতের আঁধারে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছন। অসুস্থ, দুর্ঘটনায় বিপদগ্রস্তদের সহযোগিতাসহ উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, রাজস্ব তহবিল, কর্মসৃজন কর্মসূচি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ সামাজিক নিরাপত্তার প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন নিষ্ঠাবান, কর্মঠ ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ইউএনও অতীতে খুব কম পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ভূমিহীন পরিবারকে গৃহনির্মাণ ও উপহার প্রদানে কাজ করে ভূমিকা রাখছেন।
চরউদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবলু মিয়া বলেন, এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য চালু করেছেন শিক্ষাবৃত্তি। এ বৃত্তি তহবিল থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য চালু করেছেন শিক্ষাতরী। এই শিক্ষাতরী উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রমনা ঘাট থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে চলাচল করে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকেই এসব উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের করতে হয়। চিলমারী উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছেন। তাই যতটুকু পেরেছি মানুষের পাশে দাঁড় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *