কবিতা-
“আমি অযোগ্য”
কলমে: অবনীতা রায় চক্রবর্তী
আমার কল্পনায় যখন গল্প লিখতে ইচ্ছে করে
আমি যেন হাওয়ার সাথে মিশে যাই,
আর বার বার শুধু বলতে ইচ্ছে করে
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
হাওয়া আমার কথা শুনে বড্ড বিরক্ত হয়ে বলে
রাখতো তোর ভালোবাসা,
তোর মুখে ভালোবাসার কথা শুনতে শুনতে
বড্ড বিরক্ত হয়ে গেছি রে।
এবার আমায় একটু রেহাই দে।
আমি এদিক সেদিক না তাকিয়ে ,
মন খারাপের দেশে চলে যাই।
খানিকক্ষণ পর, যখন আকাশের দিকে তাকাই
দেখি যে, আকাশের বুকে সারী সারী মেঘ জমে আছে।
আর একদল ঘুড়ি মনের আনন্দে উড়ছে।
আমার এই বোকা সোকা মন যেন,
সব কিছু ভুলে গিয়ে,
আবার নতুন কিছুর আশা নিয়ে ভাবতে শুরু করল।
আমি যদি ঘুড়ি হতে পারতাম
তাহলে দূর আকাশে হারিয়ে যেতাম,
আমাকে ডাকলেও কেউ খুঁজে পেতনা
আর মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকতাম একটু স্বার্থপর হয়ে।
এই ভেবেই যেনো বর্ষা চলে এলো,
আমি বর্ষা বলে চিৎকার করে
ছুটে চলে যায় বর্ষার কাছে।
বর্ষা কে বললাম বর্ষা, তুমি সত্যিই এসেছ,
জান বর্ষা, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
আমাকে তোমার ভালবাসতে হবে না,
শুধু বন্ধু হয়ে পাশে থেক।
বর্ষা আমার কথা শুনে একটু হাসি দিয়ে বলল
আমার অনেক বন্ধু আছে,
তোমার মতো এই রকম অযোগ্য বন্ধু আমার দরকার নেই, তুমি আমাদের মাঝ থেকে কেটে পর।
এর থেকে ভালো তুমি অন্য কোথাও চলে যাও।
বর্ষার কথা শুনে আর মন খারাপ হলো না,
এক গাল হাসী দিয়ে চুপ চাপ দাড়িয়ের রইলাম আর ভাবলাম, সত্যিই তো আমার তো কোন যোগ্যতা নেই বন্ধু হবার।আমার কোনো যোগ্যতা নেই ভালোবাসার,
সত্যিই আমি খুব অযোগ্য।
27/8/2022