দুরন্ত পথিক
রফিকুল হায়দার
তোমাকে খোঁজার তাগিদে মগজে মগজে তিক্ততা ডুকরে কেঁদেছিল,
ভালোবাসায় চুল ছেঁড়ার পালা, কি এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা,
চুলে চুলে এক সময় শেষ হলেও চুলোয় গিয়ে আটকালো সব,
মহিমান্বিত মহিয়সীদের যুদ্ধ জয়ের পালা অভিভুত করেছিল,
অবিরাম হেটে চলা ভালোবাসার কি এক নাজুক চেহারা,
তবুও এগিয়ে চলে পা থেকে মাথা বরাবর হন্যে হয়ে খোঁজে,
গায়েন বসিয়েছিল গানের আসর মধ্যরাতে গান প্রেমিদের নিয়ে,
তখনও দুরন্ত পথিক পথ খুঁজে পায়নি আর কত দূর সেই আসর,
হিমালয়ের চুড়ায় উঠেও বেমালুম ভূলে যাওয়া এত বড় আবিস্কার,
হিমালয় তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল,“ শুধু আজকের রাতটা”
পথিক উপেক্ষা করেছিল সকল সুখ জড়ানো আমন্ত্রনকে,
জেগে উঠা চর তাঁকে নামিয়ে এনেছিল হিমালয়ের বুক থেকে,
শাক-সবজী আর বাদামি নারী তাঁর জীবনের সকল অহংকার,
হিমালয়ের চুড়া থেকে জানিয়েছিল,”আমি আসছি তোমার খানকায়”।
ঘুম ভাঙ্গার আগে ভাগে নর-নৃত্য, নারী-নৃত্যের অসম প্রতিবাদ,
দুরন্ত পথিক এখনো খোঁজে বিভীষিকাময়, হিমালয়ের উদোম চুড়া,
যেখানে দাঁড়িয়ে আবার বলতে চায়, তোমার উঁচু-নীচু ভুমিটুকু
আমাকে সমতল করার অনুমতি দাও, আমার জন্ম হোক সেখানে,
আমার ভালোবাসার পথ প্রদর্শক হোক তোমার বিবস্ত্র ভালোবাসা।
জানো শাহানা!! সকল অনুরোধ পিচঢালা পথ হয়ে শুইয়ে পড়েছিল
জানিয়েছিল, “তোমার দুরন্তপনা আমাকে অগোছালো করে ফেলবে,
তুমি যা সুখ পেয়েছো, তাকেই জড়িয়ে রাখো দুরন্তপনা ভূলে গিয়ে।”