কবিতা-
মুক্তির সংগ্রাম
কবি-নাজমুল হুদা পারভেজ
লেখার সময়- রাত ৩টা ১৯ মিনিট
তারিখঃ-১৬/১১/২০২১ ইং
নির্বাচন কখনও যদি হয় নির্যাতন
নির্বাচন কখনও যদি হয় প্রহসন,
তখন মানুষের স্বাধীনতা হয় হরণ
ভোটাধিকারকে দেয়া হয় নির্বাসন।
শিকলে বন্দি হয় গণতন্ত্রের মৌলিকতা
ছিনতাই হয় মানুষের রাজনৈতিক স্বাধিকার
সকল মৌলিক অধিকারের মুখ্য অধিকার
প্রতিবন্ধকতার জালে বন্দি হয়ে যায়-
মানুষ তখন শিকল ভেঙে মুক্ত হতে চায়।
অগণতান্ত্রিকতা দেশের উন্নয়নকে বাধা গ্রস্থ করে
শাসকের উৎপীড়নে জনতা তখন মরে।
শোষনের জাতাকলে জনতা দিশেহারা হয়ে পরে
শাসকের সকল অর্জন যায় সুবিধাভোগীদের ঘরে।
বয়সটা যখন যৌবনের ফাঁদে-
বেকারত্ব ভিতরে তখন গুমরে গুমরে কাঁদে।
শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত যুবকের ঘারে
পারিবারিক দায় ভার চাপে সবারই উপরে।
দারিদ্রতা তখন যুবকদেরকে প্রতিবাদী করে
পরিবর্তনের ্উগ্রতা তখন ওদেরকে চেপে ধরে।
ইতিহাসের পথ ধরে ওরা হয়ে যায় তিতুমীর
চুপি চুপি এসে বিদ্রোহের মন্ত্র দেয় ক্ষুদিরাম বীর।
শহীদ নূর হোসেনের আত্নত্যাগের ইতিহাসের অনুপ্রেরণায়
গণতন্ত্র ফিরাতে স্লোগানে রাজপথ কাঁপে রক্তের বন্যায়।
কার্ল মার্কস, লেলিন আর মাওসেতুংয়ের বিল্পবী মন্ত্রে
ওরা দীক্ষা নিয়ে সোচ্চার হয় শাসক-শোষকের বিরুদ্ধে।
তারুণ্যের আজন্মের চাওয়া, প্রীতিলতাদের ভালোবাসা
সেই ভালোবাসা যখন ওদের রক্তে ধরায় মুক্তির নেশা,
ওরা তখন হয়ে ওঠে তিতুমীর কিংবা নেত্রকোনার তিতাস
রাউফুন বসুনিয়া, ডাঃ মিলন,কাঞ্চন, শাজাহান সিরাজ।
৪৭, ৫২,৬৯, ৭১ এবং ৯০ ওদেরকে আজও অনুপ্রাণিত করে
কবি মোহন রায়হান,নির্মলেন্দু বারবার জন্মায় সময়ের হাত ধরে,
সৈয়দ শামসুল হকের আহ্বান -জাগো বাহে কোনঠে সবায়
শোষক আর শাসকের বিরুদ্ধে রক্তে ওদের তখন আগুন ধরায়।
মুহুর্মুহু স্লোগান রক্তাক্ত রাজপথে নেমে আসে মানুষের ঢল
রক্তপাতময় রাজনীতি ভেঙে ফেলে অগণতান্ত্রিক বন্দিত্বের শিকল,
বাতাসে ওরা শুনতে পায় বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী সেই সময়ের আহ্বান –
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।