কবিতা-
“সমাধান কামরূপ কামাখ্যায়”
কলমে-নাজমুল হুদা পারভেজ
কর্তা ছুটে যায় সিদ্ধিদাতা গণেশের দরগায়
সাধু বাবা থাকেন উঁচু পাহাড়ের গুহায়,
কেন বাবা তুমি এলে, বড্ড অবেলায়?
বাবা, সংসারে ভীষণ অশান্তি বয়ে যায়
সন্তানরা কেহ কাউকে নাহি মানতে চায়।
বড্ড ভুল করেছ বাবা , প্রভাত বেলায়-
সংসারের নেতৃত্ব ধরে রাখতে ব্যবহার করেছ –
বাঘ-হাতি যা ছিল তোমার অস্তানায় ।
কি করবো বাবা,
সন্তানদের প্রতি আমার আস্থা ছিল না তাই।
বেশ তো, এখন যে ওরা ভাবছে-
তোমার টিকে থাকায়- ওদের কে ছাড়া –
তোমার কোন উপায় নাই?
এমনটা হবে বাবা, কখনো ভাবি নাই !!
ওরা তো এখন কিছুই মানছে না-
নাই কি কোন উপায়?
এখন বাঘ-হাতিরা, আমার পুত্র-কন্যা সকলকে ঘুঁতায়
তাইতো তোমার নিকট এলাম বাবা, সমাধান যদি পাই।
শোন বাবা, বলতো আমায় –
তোমার যোগ্য সন্তানরা এখন কে কোথায়?
বাবা, অধিক শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ওরা
যদি আমার গোটা সংসারের নেতৃত্বটাই নিতে চায় ?
আরও ভয় হয়,ওদের কার শরীরে-
মীরজাফরের রক্ত বয়, চেনার কোন উপায় নাই।
তাই ওদেরকে আমি,উচ্চ মাত্রায়
মাদক দিয়ে ঘুমিয়ে রেখেছি যোগ্যতা বিবেচনায়।
অর্ধ শিক্ষিত সন্তান দ্বারা সংসার চালাচ্ছি-
বড্ড নিরাপদে আছি তাই।
শিষ্য , সংসার চালাতে তোমার কোন ঝামেলা হয় নাই?
কি বলছ বাবা ? আমি যা খাওয়াই, ওরা তাই খায়।
তবে ওরা মাঝে-মধ্যে বেফাস কথা বলে-
সমাজ-রাজনীতিতে আমাকে ফেলে বেকায়দায়।
ওদের আরেকটা দোষ আছে বাবা,
ঘরের কথা বাহিরে বলে বেড়ায় -হরহামেশাই।।
তুমি ভীষণ চালাক বাবা-
বাস করছ বোকার স্বর্গে তাই।
সংসারের কর্তৃত্ব নিজে ধরে রাখতে চাও
যত দিন নিজে মরো নাই।
তোমার সমস্যাটা বড়ই জটিল।
বাবা, আমাকে বলো, সমাধান কোথায় পাই ?
ভারত বর্ষে চলে যাও-
সেখানে এক গুণী সাধক আছে-
কামরূপ কামাখ্যায় ।।