কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ১৪-১২-২০২২
কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পুরাতন হাসপাতাল পাড়াস্থ ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতাল ভবণের সামনে কুড়িগ্রাম-নাগেশ^রী সড়কে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মেজর (অব:) আব্দুস সালাম, মহাসচিব মো. কাজিউল ইসলাম, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, সিনিয়র সাংবাদিক সফি খান, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান প্রমুখ। এসময় হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী, রোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানবন্ধনে অংশগ্রহন করে।
বক্তারা বলেন সকল বিধি মেনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ২০১৯-২০ সালের জন্য ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পরাজিত শক্তি কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজেরা একতরফাভাবে একটি কমিটি গঠন করে এবং সেই কমিটিকে দেখিয়ে পূর্বের কমিটির কার্যাদি বাতিলের দাবী জানিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট দাখিল করে। এর মাধ্যমে কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করার চক্রান্ত সূচনা করা হয়েছে। এরফলে এই হাসপাতালে রেজিষ্টার্ডকৃত প্রায় ২০ হাজার সাধারণ রোগীর সেবার কার্যক্রম বন্ধ করার পায়তারা চলছে। হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক সেবা নেয়া বয়স্ক নাগরিকরা বিপদের মুখে পরবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সাবেক মন্ত্রী মরহুম মাঈদুল ইসলাম মুকুল ও মেজর (অব:) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি গঠন করা হয় এবং ২০০৫ সালে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরে ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভবন তৈরীর মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের স্বল্পমূল্যে সেবার কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি হঠাৎ করে পূর্বের কমিটিকে পাশ কাটিয়ে এককভাবে নিজের পছন্দের লোকজনকে নিয়ে ২০২২-২৩ সালে একটি স্টাম্প প্যাডের কমিটি গঠন করেন। এরপর চলতি বছরের গত ২৯ আগস্ট পূর্বে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত কমিটি কেন অবৈধ হবে না এবং তার দেয়া কমিটি কেন বহাল থাকবে না এনিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রীট দাখিল করেন। এরপর থেকে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হবার উপক্রম হয়েছে। চক্রান্তের মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রম যাতে বন্ধ হয়ে না যায় এজন্য হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে।