শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় এবারে ৪৮৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্টিত হচ্ছে।এর মধ্যে ১০৯দুর্গা মন্ডপ তৈরী হয়েছে রাজারহাট উপজেলায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উলিপুর ১০২টি। সদরে ৮১টি,নাগেশ্বরীতে ৭৮টি,ফুলবাড়ী ৬৭টি,ভুরুঙ্গামারী ১৮টি,চিলমারী ১৮টি,রৌমারী ৭টি ও রাজীবপুরে ১টি। কুড়িগ্রাম জেলা পুজা কমিটির সভাপতি গবাপান্ডে জানান,প্রতিমা তৈরী শেষ। এবারে শারদীয় দুর্গা উৎসব খুবই উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্টিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও প্রতিটি মন্ডপে ১০জন করে ভোলান্টিয়ার নিয়োগ করেছি। সরকার ইতিমধ্যে প্রতিটি দুর্গা মন্ডপে ভক্তদের আহার্যের জন্য ৫০০‘শকেজি করে চাউল বরাদ্ধ দিয়েছে। একই কমিটির সাধারন সম্পাদক,রবিবোস জানান, এবারে প্রতিটি দুর্গা প্রতিমা তৈরী করতে ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দুর্গা উৎসবে এ জেলায় এবার প্রায় ৩কোটি টাকা উৎসবে লেনদেন হবে। প্রতিমার কারিগড় মালী হরিশ চন্দ্র বলেন, প্রতিটি প্রতিমার ডিজাইনে উপর মুল্য নির্ভর করে। ভিতরবন্দ ডাকনীরপাঠ এলাকার প্রফুল্ল চন্দ্রের বাড়ীতে একটি প্রতিমা তৈরী হচ্ছে ১০০ফিট উচু । চুক্তি হরেছে ৬০হাজার টাকা। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ডাঃ মোঃ তবারক উল্লাহ জানান,হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ভিতরবন্দ গোপালজিউ মন্দিরের পুরোহিত শ্রী ভবানী ঠাকুর বলেন,‘মা দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে মর্তে আসছেন। এবারে দুর্গতিনাশিনী মায়ের ঘোড়ায় আগমন শুভনয়-অশুভ। ঘোড়ায় করে আসায় আগামীতে প্রকৃতিতে অনেক দুর্যোগ হওয়ার সম্ভবনা আছে। আগামী ৬ অক্টোবর সকালে মঙ্গলঘট স্থাপন, সন্ধ্যায় দেবীর বোধন ও পরদিন সকালে ষষ্ঠাদী কল্পারম্ভ, সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে দুর্গা পুজার শুভ সুচনা হবে। ১১ অক্টোবর দেবীর দশমী বিহিত পুজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে । তাই আমরা মায়ের পুজার মাধ্যমে সকল অনাচার ,দুরাচার ও দুর্গতির অবসান করে মঙ্গল ও উন্নতি চাইবো।