বিশেষ প্রতিবেদনঃ
বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশ দেশ রক্ষায় ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। পুলিশের প্রতি ইতিপুর্বে জনগনের ভীতি ও হয়রানীর ভয়কে কাটিয়ে পুলিশ জনগনের বন্ধু তা প্রমান করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। মহিবুল ইসলাম খান কুড়িগ্রামে যোগদানের পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার নিরীহ জনসাধারণ পুলিশী হয়রানী ও দালালদের চক্র থেকে মুক্ত হয়েছে। প্রতিটি থানায় থানায় দেয়া হয়েছে বিলবোর্ড যেখানে লেখা রয়েছে থানায় মামলা নিতে না চাইলে সরাসরি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করুন এতে প্রতিটি থানার চিত্র পাল্টে গেছে। তার বন্ধুসুলভ আচরনে অনেক নিরীহ সাধারণ জনগন আবার পুলিশী স্বচ্ছ সেবা পেতে থানায় আসছে আর পাচ্ছে বিনামুল্যে পুলিশী সেবা। পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান ইতিমধ্যে মাদক নির্মুলে ব্যাপক ভুমিকা পালন সহ শিশুদের হৃদয় জয় করেছে। নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত থাকায় তার সুনাম ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কিছুদিন পুর্বে নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতী অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে গিয়ে সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতকে শক্তিশালী করতে নানান উপদেশ দিয়ে তাদের উৎসাহ প্রদান করে এবং শিশুদের জন্য ৫০টি টেডি বিয়ার খেলনা প্রদান করেন। শুধু তাই নয় নিয়মিত তাদের খোজ খবর নেন। এদিকে গত কাল মঙ্গলবার বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হলেও আগামী কাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে পালিত হবে প্রতিবন্ধী দিবস। আর প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে গাজিপুরের এক হিতাকাংখী এসব প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পুলিশ সুপারের নিকট শতিবস্ত্র হিসাবে কম্বল পাঠায়। সরকারী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিশুদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে তিনি নিজেই ছুটে আসেন সুখাতী অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে । শিশুদের সাথে সময় কাটান আর তাদের শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিটি শিশুর জন্য কম্বল প্রদান করেন। তার নিয়মিত এই বিদ্যালয়ে আসায় শিশুরা যেন প্রান ফিরে পেয়েছে। পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিবুল ইসলামের সাথে শিশুদের গড়ে উঠেছে হৃদয়ের গভীর সম্পর্ক । আজ এমন পুলিশ সুপারের আগমনে শিশুরাও স্বপ্ন দেখছে আমরা করবো জয় একদিন। পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিবুল ইসলামের নিকট শিশুদের বিষয়ে অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি জানান,শত কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ছুটে আসেন এসব প্রতিবন্ধী শিশুদের দেখতে। তাদের সাথে সময় কাটাতে পেয়ে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন।