হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর জেলেপাড়ায় পাঁচ সন্তানের জনক জবদুল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যাক্তি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরী (১২)কে পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক জবদুলের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিত মেয়েটির দাদী সুরবালা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরীটি পার্শ্ববর্তী হযরত আলীর বাগানে সকালে একাই পান কুড়াতে যায়। এসময় একই গ্রামের মৃত: রাড়িয়া বাজারীর পূত্র জবদুল হোসেন স্কুল ছাত্রীটিকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে সে। ঘটনার সময় কিশোরীটি’র আত্ম-চিৎকারে তার দাদী সুরবালা ও যমুনা বালাসহ স্থানীয়রা ছুটে এলে ধর্ষক জবদুল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে স্কুলছাত্রীটি অভিভাকদের সাথে নিয়ে ফুলবাড়ী থানায় নিজেই বাদি হয়ে জবদুল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। কিশোরীটি ওই গ্রামের ঝাঁল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে ও স্থানীয় একটি বালিকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আফছার আলী ও এলাকার ছয়ফুর রহমান, আবু তালেব, গিরিধর বিশ্বাস এবং ইসমাইল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ধর্ষক জবদুলের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, স্কুলছাত্রীটি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নাম্বার ২৯। পলাতক আসামী জবদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।