শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ।
গাইবান্ধায় স্ট্যাম্প জালিয়াতির চার্জশিট দিলেও
ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার অব্যাহত।
২০২০ সালের জুলাই মাসের স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মেশিন বিক্রির চুক্তিনামা তৈরি করে প্রতারণা করার মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গাইবান্ধার সার্কুলার রোডের প্রেস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস ব্যবসায়ি ওবায়দুর রহমান লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করে বলে, ওই প্রতারক চক্র উল্টো তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপপ্রচার ও মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করে।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধার আবু সাঈদ সরকার, আব্দুল জলিল, স্বপন কুমার রায়, সুকান্ত বর্মন, সামিউল ইসলাম ও বগুড়ার আবুজার প্রামানিক গত ২৩ মার্চ গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তা ভয়ংকর মিথ্যা এবং সত্যের অপলাপ।
স্বপন কুমার রায়, সুকান্ত বর্মন, আবুজার প্রামানিক ও সামিউল ইসলাম তার মালিকানাধীন মা প্রেসের বিশ্বস্ত কর্মচারি ছিল।
কিন্তু তারা গোপনে গোপনে ব্যবসার ক্ষতি করার পরিকল্পিত ষড়ষন্ত্রের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত অজুহাত দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে দেয়।
এরপর আবু সাঈদ সরকারের সাথে পার্টনারশিপে তার ভাড়া দেয়া শর্টকর্ড অপসেট মেশিনটি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
এটা জানতে পেরে তাদেরকে পার্টনারশিপ না নেয়ার জন্য উক্ত ভাড়াটিয়া আবু সাঈদকে অনুরোধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ায় সে আবু সাঈদের কাছে মেশিনটি বিক্রি করে দিয়েছে।
পরে তারা আবু সাঈদের সাথে মিলে সুকৌশলে আব্দুল জলিলের কাছে জাল চুক্তির মাধ্যমে মেশিনটি বিক্রি করে দেয়।
এতে তাদেরকে বাধা দিলে তারা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে ও তার পিতাকে মারপিট করে।
এ ব্যাপারে সে সদর থানায় একটি অভিযোগ করার পর তারা গোপনে তড়িঘড়ি করে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসিয়ে দিয়ে ভুয়া চুক্তিপত্র তৈরি করে তার ফটোকপি থানায় জমা দেয়।
তখন এস.আই হাসান প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে এবং চুক্তিপত্রের সাথে তার উক্ত স্বাক্ষরের মিল দেখতে পায়।
এব্যাপারে তাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩২৩, ৩২৫, ৪৬৮, ৪০৬, ৪২০, ৫০৬ ধারায় গত ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আসামিরা আদালতে জামিন নিতে গেলে ১নং আসমি আবু সাঈদ সরকারকে কাস্টডি করে বিজ্ঞ আদালত তাকে রিমান্ডে দেন।
রিমান্ডে আবু সাঈদ সরকার স্বীকার করে যে, স্বপন, সুকান্ত, আবুজার, সামিউল, জলিল তাকে ভুয়া চুক্তিপত্র তৈরি করে দেয়।
মামলা দায়েরের পর দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিভিন্ন সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত ৬জন আসামির বিরুদ্ধে জালিয়াতির ঘটনা সত্য বলে প্রমাণ করে চার্জশিট প্রদান করে।
তারা তার প্রেসে চাকরিরত থাকা অবস্থায় প্রতিমাসে খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়মিত বেতন নিয়ে আসছিল।
সুকান্ত বর্মন প্রেসের ম্যানেজার ও মার্কেটে বকেয়া আদায়ের দায়িত্বে থাকায় সে তাকে প্রেসের প্রায় আড়াই লাখ টাকার হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
তারা যে ভিডিও ফুটেজের কথা বলেছে, তা ভুয়া। জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় বাঁচতে এসব তাদের সাজানো নাটক।
সে এব্যাপারে তাদের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং তাদের অপপ্রচারের প্রতিকার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক উদ্বর্তন কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করেন।