রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার নুনতোর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্যোশে গাছ কেটে ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম গংয়ের বিরুদ্বে। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, নুনতোর গ্রামের অধিবাসী নজরুল ইসলাম তার বাড়ীর নিকটে থাকা ৫০ শতক জমি ক্রয় করে ২০০৪ সালে। সে জমি নিয়ে বিরোধ বাধে একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম গংয়ের সাথে। তার জের ধরে সেই জমিতে রোপণকৃত গাছ কাটাকাটিকে নিয়ে হট্রগোল বাধে। এবং ২০১৪ সালে ২১ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালত প্রর্যন্ত পৌছায় জমি বিরোধ সৃষ্টিকারী সফিকুল গং। তিনি জমি ক্রেতা আতাউর রহমান,নজরুল ইসলাম প্রাইমারী স্কুলের সরকারী শিক্ষক বজরুল ইসলামসহ ৭জনকে আসামী করে ঠাকুরগাও জজ কোটে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে মামলা নং সি আর ৪৮/১৫। মামলাটি বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় রয়েছে তবে এ মামলাটি মিথ্যা বলে দাবী করেছেন আতাউর গং। ঘটনা সুত্রে আরো জানা যায়, সফিকুল গং তার প্রতিপক্ষ আতাউর গংয়ের বিরুদ্বে মামলা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি এখন আইনিভাবে আরো হয়রানী করার লক্ষে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ দুপুরে প্রকাশ্য কোর্টে বিচারাধীন জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ টি গাছ কর্তন করেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। এভাবে অবৈধভাবে গাছ কাটা দেখে বিচারাধীন মামলার ২ নং আসামী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঐ দিন বিকেলে রানীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সফিকুল গংয়ের বিরুদ্বে। এরই পেক্ষিতে ২৩ মার্চ থানা থেকে এস আই তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে আতাউর গং মনে করছেন এভাবে অবৈধভাবে গাছ কেটে আমাদেরকে আবার মামলা মোকদ্দমায় ফাসানোর চেষ্টা এবং পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটি তাদের পক্ষে নেওয়ার একটি পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের নিকট ।