মোঃ জাহিদ আলী, গুরুদাসপুর, নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রাণীনগর গ্রামেরগৃহবধূ হাজেরা বেগমকে (৩০)কে গরু যবেহ করা বড় ছুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী শফিকুল ইসলাম (৪২)। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে সাড়ে ৭টার দিকে ঘঠনাস্থলে পৌঁছান। ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে রাত সাড়ে ১০টায় হত্যাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। খুনী শফিকুল পার্শ্ববর্তী রোকেয়া বেগম নামের এক মহিলা ওই সময় এগিয়ে আসলে তাকেও ওই ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে যখম করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানা পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শফিকুল নিজের বাড়িতেই তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে রাস্তার দিকে দৌড় দিলে খুনী ধাওয়া দিয়ে মসজিদের কাছে প্রকাশ্যে তার স্ত্রীকে ছুড়ি দিয়ে এলাপাথারিভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে শফিকুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়ি নিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান নেয়। পুলিশকে গিয়ে মসজিদটি ঘিরে রাখে। ওই খুনী মসজিদে অবস্থান নেওয়ায় এলাকাবাসী মাগরিব, এশাসহ তারাবি নামায পড়তে পারেনি। শফিকুল রানিগ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। ছয় বছর আগে উপজেলার বেড়গঙ্গরামপুরের দিনমুজুর মৃত জিকির প্রামাণিকের মেয়ে হাজেরার সাথে তার বিয়ে হয়। সে পেশায় সুপারি ব্যবসায়ী। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তিন ঘন্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১০ টায় খুনীকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। সে তার গোপনাঙ্গ ছুড়ি দিয়ে আঘাত করায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎাধীনে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পেরন করা হয়েছে। হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সাখাওয়াত হোসেন লাবু বলেন, এর আগে ওই শফিকুল মসজিদের ভিতর ঢুকে চারজনকে কুপিয়ে যখম করেছিল। এঘটনায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে তার স্ত্রীকে হত্যা করলো।