মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
বনানী সবুজের নীড়ে মা-বাবার পাশে বাংলাদেশের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সিংহপুরুষ শফিউল আলম প্রধান ঘুমিয়ে গেলেন। তিনি আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু জীবদ্দশায় যে কীর্তি সৃষ্টি করেছেন এ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে আজীবন স্মরণ করবে। ২১শে জুন মৃত্যুর পরেও চার দফা ঢাকা ইকবাল রোডে, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে এবং সর্বশেষ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সবাই চোখের জল ফেলে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানালেন। জাগপা পরিবার কেউ চিৎকার করে কেঁদেছে, কেউ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে আর কেউবা নিরবে চোখে অশ্রু ঝরিয়েছে। তাকে দেখতে আসা কারও চোখের কোণায় এমন মানুষটি মেলা ভার ছিল। তাতেই বোঝা যায় তিনি সকলের কতো প্রাণপ্রিয় ছিলেন। “আগামীকাল আমার অতীত”। এই কথাকে স্মরণ করেই কাউকে বুঝতে না দিয়েই সবাইকে কাঁদিয়ে রাজনৈতিক আকাশে শুকতারা বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন সকলের প্রিয় মানুষ, নন্দিত জননেতা, ছাত্র আন্দোলনের অহংকার, আধিপত্যবাদী আন্দোলনের বীর-সিপাহসালার বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ-জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। ২০১৭ সালের রবিবারের সূর্যটা আলোকিত হলেও আসাট গেটের প্রধান বাড়ী ধীরে ধীরে অন্ধকারে ছেয়ে আসে। সকাল ৬ টায় তিনি ৬৯ বছর বয়সে স্ত্রী রেহানা প্রধান, মেয়ে ব্যারিস্টার তাহমিয়া প্রধান, ছেলে রাশেদ প্রধান, ৪ ভাই ২ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে চিরবিদায় নিলেন। সকাল ৯ টায় যমুনা টিভি’র শরীফ ভাই আমাকে মোবাইল করে জানতে চাইলেন প্রধান ভাই’র কি অবস্থা। সাথে সাথে টিভি চালু করে এনটিভি’র সংবাদ শিরোনামে দেখতে পেলাম আমার অতি আপনজন, শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক অভিভাবক প্রধান ভাই আর নেই। এরপরই কাঁদতে কাঁদতে ফোন করলেন আমার চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা। তিনি বললেন- আমি বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে সাথে নিয়ে প্রধান ভাই’র বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছি, তুমি বরিশাল থেকে ঢাকার দিকে আস। তার পর পরই আরেকটি ফোন আসল বাংলাদেশ ন্যাপে’র মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র। তখন বেলা গড়িয়ে অনেক দূর। জীবনের কঠিন বাস্তবতার সামনাসামনি সে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করলাম জীবন থেকে একটি বটবৃক্ষ হারিয়ে গেল। প্রধান ভাই’র মৃত্যুতে সাথে সাথেই শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাগপা’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভীড় জমাতে শুরু করলো আসাদগেটের সেই চিরচেনা বাড়ীটিতে। এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসল। কেউ কেউ বলতে শুরু করলো- এই তো সেদিন প্রধান ভাই তার স্ত্রী রেহেনা প্রধানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। রেহেনা প্রধান খুবই অসুস্থ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরতে না ফিরতেই প্রধান ভাই অসুস্থ হয়ে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এ্যাড. এহসানুল হুদা, এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ও আমি দেখতে গিয়েছিলাম। হাসিমাখা মুখে বলেছিলেন- এ যাত্রায় আল্লাহ কিছুদিনের হায়াত বাড়িয়ে দিল। গণতন্ত্রের জন্য, মেহনতি শ্রমিকের জন্য আরো কিছুদিন হয়তো বেঁচে থাকতে হবে। সেই মানুষটি এভাবে সবার অলক্ষ্যে নীরবে চলে যাবে বুঝতেই পারিনি। শফিউল আলম প্রধান ছিলেন কর্মীবান্ধব নেতা। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। সত্তরের দশকের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনেক ¯েœহের। শেষ পর্যন্ত ’৭৪ সালে এপ্রিল মাসে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মহসিন হলের সেভেন মার্ডারের কারণে থাকতে পারলেন না ছাত্রলীগে। ’৭৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় শ্বেতপত্র বের না করলে হয়তো আজ ইতিহাস অন্যরকম হতো। তৎকালীন সময়ে যে সমস্ত ব্যক্তিরা তার কর্মী ও শিষ্য ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই মন্ত্রী, এম.পি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছেন। সেই তালিকা থেকে সৈয়দ আশ্রাফ ও বর্তমান আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, ওয়ায়দুল কাদেরও বাদ পড়েননি। প্রধান ভাই এদেশের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা মরহুম গমীর উদ্দিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। কোন কোন সময় স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন্। সেই পরিবার থেকে উঠে আসা ১৯৫০ সালে পঞ্চগড়ের এক নিঝুম পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন প্রধান। তারপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয় নি। তার স্ত্রী অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধানও ছিলেন অগ্নিকন্যা। রেহেনা প্রধানের বক্তৃতার ঝাল গ্রহণ করেছল তৎকালীন ছাত্র সমাজ। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনা গ্রীণে প্রতিষ্ঠিত করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা। জাগপা’র নেতৃত্বে শফিউল আলম প্রধান থাকলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শে তাঁর সৃষ্টি হয়েছিল অনেক শুভাকাঙ্খি ও ভক্তবৃন্দ। তাঁর সাহসী বক্তব্য সকলেই সাদরে গ্রহণ করতেন। তিনি কাউকে পরোয়া করে কথা বলতেন না। এইজন্য জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রথম যখন কারাবরণ করেছিলেন তখন তৎকালীন কোর্ট তাঁকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, জীবদ্দশায় তাঁকে সাধারণ ক্ষমা করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই সুযোগ তিনি কখনো অপব্যবহার করেননি। ক্ষমতা কিংবা চেয়ারের জন্য প্রধানের কোন লড়াই ছিল না। তাঁর লড়াই ছিল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে। তিনি কখনো আপোষ করেননি। বিশ দলীয় জোটে থাকা অবস্থায় মাঝখানে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে অংশগ্রহণ করে সেখানে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর চিন্তার বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দল হওয়ার কারণে সেখানে তিনি বেশীদিন থাকতে পারেননি। আবার ফিরে এসেছে নিজের ঘরে। বিশ দলীয় জোটের ভাঙা গড়ার রাজনীতিতে তাঁর দল থেকেও ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর দলের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন খান বাবলু ও মজিবর আলাদা জাগপা সৃষ্টি করেছিলেন। তারা সেখানে সুবিধা করতে না পারলেও দল ভাঙনে তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ ’৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ডাকসু’র ভিপি আমান-খোকন-আলমের অত্যন্ত কাছের ছিলেন। রাজপথে এখনো তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। প্রধানের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি কখনো একা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। দলের সকলকে নিয়ে পরামর্শ করে কর্মসূচী ঘোষণা করতেন এবং একের পর এক সফল কর্মসূচী পালনও করতেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত ঃ ২/৩ দিন কর্মীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করতেন। তাঁর আসাদগেটের দলীয় কার্যালয় এবং পুরোনো পল্টনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই নেতার। দুুপুর বেলায় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কখনো চা-পুরি, আবার কখনো ডাল-রুটি খেয়ে দিনটি কাটিয়ে দিতেন। নিজের জন্য আলাদা কিছু করতেন না রাখতেন না। এইজন্যই তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যেমন পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা তেমন পেয়েছিলেন ভালবাসা। তিনি অন্যান্য দলের রাজনৈতিক কর্মীদের মর্যাদা দিতেন ও ভালবাসতেন। সবাইকে নেতা হওয়ার সুযোগ করে দিতেন। তিনি ছিলেন নেতা তৈরী করার কারিগর। তিনি যাকে খুব বেশী ভালবাসতেন ও আদর করতেন তাকে তুই বলে সম্বোধন করতেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্বিত আমি তাঁর ‘তুই’ ডাকের অংশে ছিলাম। সময় অসময়ে মোবাইল করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ও তাদের পরিবারের খবর নিতেন এই মহান নেতা। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহ প্রদান করতেন। তাঁর স্পর্শ পেয়ে অনেক নেতার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে চরম দুঃসময়ে ও সংকটময় মূহুর্তে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। যখন দেশের গণতন্ত্র গুম হয়ে আছে,মানুষের ভোটের অধিকার নেই, অনিশ্চিত, অন্ধকার পথে হাঁটতে গণতন্ত্রের অন্বেষণে রাজনৈতিক দলগুলো, ঠিক সেই সময়ে বিল্পবী এই কন্ঠস্বরের বিদায়কে মেনে নেয়া যায় না। সর্বশেষ ১৯ মে সকালে মোবাইলে আমার সাথে শেষ কথা হয়েছিল। আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন- তোর ছেলে মেয়েরা কেমন আছে ? তাদের পড়াশুনা কেমন চলছে? আমরা তো কিছুই করে যেতে পারলাম না, সন্তানদেরকে মানুষের মতো মানুষ গড়ে তুলতে পারলে এইটুকুই আমাদের প্রাপ্তি।’ তাঁর এই কথাগুলো অমীয় বাণীর মতো কর্ণপূরে ভাসছে। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে যেই মহানব্যক্তিটি স্বাধীনতা প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীর কতটুকু মর্যাদা আমরা দিতে পারব। একসময়ে যে ছাত্রলীগের জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন তারই সেই শিষ্য এখন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কি অতীতের স্মৃতি মনে করে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই মহান নেতাকে সমাহিত করার উদ্যোগ নিতে পারেন নি। জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ১৯৪৮ সালে পঞ্চগড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধান ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার। শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের নির্বাচিত জিএস ছিলেন ১৯৬৮ সালে। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াবস্থায় এসএম হলে থাকতেন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এরপর স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দিনাজপুরে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পে মতাসীন দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জেলখানায় থাকাবস্থায় তাকে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে বের হন। তারপরে গণতন্ত্রের জন্য তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন তাই বজ্রকন্ঠে দ্বিধাহীন চিত্তে সবার সামনে বুক ফুলিয়ে বলতেন। তার বক্তব্যের শেষ সংলাপ থাকতো- ‘‘বিজয়ের পথে যাত্রা শুরু-জীবন অথবা মৃত্যু”। তিনি জীবন দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতির সবচেয়ে কঠিন ও গভীর সংকটের সময়। যখন তার বজ্র কন্ঠস্বর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদেরকে ফাঁকি দিয়ে তিনি চলে গেলেন। এই মহান মানুষটির সাথে আলেম ওলামাদের সাথে ছিল গভীর সম্পর্ক। মরহুম চরমোনাই পীর সাহেব, শাইখুল হাদীস, মুফতি আমিনী, মাওলানা মহিউদ্দীনসহ দেশবরেণ্য সকল আলেমের প্রাণের মানুষ ছিলেন প্রধান। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, মশিউর রহমান জাদু মিয়া, আনোয়ার জাহিদসহ জাতীয় নেতাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আমাদের পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকবে। শিক্ষকদেরও তিনি অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন। সর্বশেষ তার প্রিয় শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমেদের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। তিনি তখন স্যারের পা ছুঁয়ে দোয়া নিতে গেলে স্যার তাকে পরম মমতায় বুকে টেনে নিয়েছিলেন। যে কথাটি তিনি স্বাধীনতা ফোরামের আয়োজনে ২৪ মে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রথম স্মরণ সভায় ব্যক্ত করেছিলেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এমাজউদ্দিন স্যার। আগামী ২৬ মে শুক্রবার আসাদ গেটস্থ তার নিজ বাড়ীতে পরিবারের উদ্যোগে কুলখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা উপস্থিত হয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আমরা আশা করছি একদিন নয়, জীবনের প্রতিটি দিন এই প্রিয় মানুষটির জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামীর পথ চলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে দেশের জনগণ পাবে স্বাধীন সার্বভৌম সোনার বাংলা। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন এই মহান নেতাকে জান্নাত দান করে।