চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার টাকা শিক্ষা অফিসের চলতি হিসাবে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বৈশাখী ভাতার ২০ভাগ সরকারী তহবিলে জমা করার লক্ষে শিক্ষকদের ভাতার অর্থ শিক্ষা অফিসের চলতি হিসাবে নেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে দেশে বিদ্যমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে মোকাবেলার লক্ষে দেশের সকল সরকারী, বেসরকারী ও আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতনের ১দিনের টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা কমা করা হয়েছে। সে লক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০% অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিতে বলা হয়েছে। চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সালেহ শিক্ষকদের ভাতার টাকা তাদের হিসাবে না দিয়ে শিক্ষা অফিসের চলতি হিসাবে স্থানান্তরের জন্য উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের আদেশ প্রেরণ করেন। হিসাব রক্ষণ অফিস বিলটিতে বাধা প্রদান করে শিক্ষকদের ভাতার টাকা সরকারী হিসাবে নেয়ার কারন জানতে চেয়ে অভিযোগ দিলে ভাতা প্রদানে বিলম্বের সৃষ্টি হয়। ২১এপ্রিল পর্যন্ত ভাতা না পাওয়ায় বৈশাখী ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বৈশাখী ভাতার অর্থ উত্তোলন করলেও অধ্যাবধি আমাদের ভাতার কোন খবর নেই।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সালেহ’র সাথে কথা হলে তিনি জানান,করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ভাতার ২০% অর্থ কর্তনের সুবিধার্থে অফিসের চলতি হিসাবে ভাতা জমা করা হয়েছে। শিক্ষকদের ভাতার অর্থ অফিসের হিসাবে জমা করার ক্ষমতা আমার রয়েছে।মোট ভাতা থেকে ২০ভাগ কর্তন করে বাকী ৮০ভাগ শিক্ষকদের হিসাবে জমা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন