শ্যামল কুমার বর্মন
চিলমারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরিষা ফুলে ছেঁয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। অগ্রহায়নের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে রঙে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি এবারে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার চরাঞ্চলগুলো সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চলতি মৌসুমে উপজেলার থানাহাট, রাণীগঞ্জ, রমনা, অষ্টমিরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নে ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা অনুযায়ী চাষও করা হয়েছে। কৃষকরা অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল(উফশি) বারী-১৪,১৫,১৬,১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা চাষ করে। এ জাতের সরিষার আবাদ মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে প্রায় দেড় হাজার কেজি ফলন পাওয়া যায়। থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকার কৃষক সাজু মিয়া জানান, আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান এজেড কাটার পর বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষকরা শরিষা চাষে ঝঁকে পড়বে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রনয় বিষান দাস জানান, সরিষা পরিচর্যার জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বারী-১৪ সহ অন্যান্য উন্নত জাতের সরিষা ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে কেটে নির্বিঘ্নে ঐ জমিতে ইরি বোরোর চাষ করা যায়। এজন্য কৃষকরা সরিষা চাষকে লাভের ফসল হিসাবে অভিহিত করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *